রবিবার ● ৮ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বলাৎকার থেকে বাচতে তাজ উদ্দিনকে হত্যা : আদালতে সুমনের ১৬৪ ধারায় স্বীকাররোক্তি
বলাৎকার থেকে বাচতে তাজ উদ্দিনকে হত্যা : আদালতে সুমনের ১৬৪ ধারায় স্বীকাররোক্তি
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (২৫ চৈত্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় দুপুর ২.৪৩মি.) সিলেটের বিশ্বনাথে ব্যবসায়ী হত্যার ২৩দিন পর হত্যাকারী সুমন আহমদ (২৩) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের জহুর আলীর ছেলে। গত শুক্রবার ভোর বেলায় বিশ্বনাথ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে লামাকাজি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সুমন আহমদ পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিনকে হত্যা দায় স্বীকার করেছে। আজ গতকাল শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন হত্যার মামলায় গ্রেফতারকৃত সুমন আহমদ আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। শনিবার বিকেলে সিলেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাজ উদ্দিন হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় সুমন আহমদ। জবানবন্দি লিপিবদ্ধ শেষে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক। জবানবন্দিতে তাজ উদ্দিন হত্যার কারণ ও হত্যার বর্ণনা দেয় সুমন।
জবানবন্দিতে সুমন আহমদ জানান, প্রায়ই জোরপূর্বক বলাৎকার চেষ্ঠা করতেন তাজ উদ্দিন। সুমন বলাৎকার থেকে রেহাই পেতে তাজ উদ্দিনকে হত্যার করেছে বলে আদালতে স্বীকার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই সফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে সুমন আহমদ।
প্রসঙ্গত, সিলেট সদর উপজেলার ফহেতপুর গ্রামের মৃত আলা উদ্দিনের ছেলে তাজ উদ্দিন (৩০) বিশ্বনাথ থানাধীন এলাকার মাহতাবপুর মৎস্য আড়তের একজন ক্ষুদ্র পান দোকানদার ছিল। প্রতিদিনের মতো গত ১৩ মার্চ দুপুরে মৎস্য আড়ৎ বাজারে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যান। পরদিন ১৪ মার্চ সকাল ১১টায় বিশ্বনাথের কেশবপুর গ্রামের সুরমা নদীর পশ্চিম পাড়ে আতাপুর ডর নামক স্থানে নীচু জায়গায় পানির পাশে শুকনাতে ক্ষতবিক্ষত পেট কাটা অবস্থায় তাজ উদ্দিনের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। গত ১৬ মার্চ অজ্ঞাতনামা আসামি রেখে বিশ্বনাথ থানায় তাজ উদ্দিন হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।