সোমবার ● ৯ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » জাতীয় » এবার ময়মনসিংহে কোটা সংস্কারের দাবিতে রেলপথ ও সড়ক পথ অবরোধ
এবার ময়মনসিংহে কোটা সংস্কারের দাবিতে রেলপথ ও সড়ক পথ অবরোধ
ময়মনসিংহ অফিস :: (২৬ চৈত্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৫১মি.) সড়ক পথের পর এবার ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রেল স্টেশনে মিছিল নিয়ে অবরোধ করে কোটা সংস্কারের দাবি জানায় আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা। অবরোধের কবলে পড়ে ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া এক্সপ্রেস ফাতেমানগর রেলষ্টেশনে, তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস গফরগাঁও রেলস্টেশনে এবং ঢাকাগামী বলাকা ট্রেন ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে আটকাপড়ায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
আজ ৯ এপ্রিল সোমবার সকালে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা জব্বারের মোড় এলাকায় রেল লাইনের উপর অবস্থান নিয়ে এবং ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে।
এ সময় বিভিন্ন শ্লোগানে আন্দোলনকারীরা উত্তাল করে রেখেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড় এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন কারা হয়েছে। বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে এবং লিফলেটের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে হাজারো আন্দোলনকারীরা। অবরোেেধ পড়ে ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া এক্সপ্রেস ফাতেমানগর রেলষ্টেশনে, তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস গফরগাঁও রেলস্টেশনে এবং ঢাকাগামী বলাকা ট্রেন ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে আটকাপড়ে। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন।
অপরদিকে একই দাবিতে ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক সকাল ১০ টা থেকে প্রায় ২ ঘন্টা অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করে।
বিভিন্ন জায়গা থেকে শ্লোগানে শ্লোগানে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’,‘শেখ হাসিনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই,’ ‘আমাদের দাবি, মানতে হবে মেনে নাও,’ ‘কোটা দিয়ে কামলা নয়, মেধা দিয়ে আমলা চাই,’ ‘১০% এর বেশি কোটা নয়।’ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচিস্থলে আসতে শুরু করায় বাকৃবি এলাকায় রেলপথ এবং ত্রিশাল এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এ অবরোধ সৃষ্টি হয়। ফলে ব্যপক যানযট দেখা দেয়।
আন্দোলনকারীরা বলেন কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে শতকরা ৫৬ ভাগ থেকে ১০ ভাগে নিয়ে আসা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না থাকলে শূন্য পদগুলোতে মেধা ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একের অধিক বার ব্যবহার বন্ধ করা, কোটায় কোনো বিশেষ ধরনের নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া, চাকরির পরীক্ষায় সবার জন্য অভিন্ন নম্বর কর্তন ও বয়সসীমা রাখাসহ কোটা সংস্কারের পক্ষে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, দেশের মাত্র তিন শতাংশ মানুষের জন্য ৫৬ শতাংশ কোটা বিদ্যমান রয়েছে। ৫৬ শতাংশ কোটা রাখার কারণে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোটা কমিয়ে ১০ শতাংশে নিয়ে আসতে হবে।মেধাবীরা যাতে দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক জায়গায় যেতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করার দাবি জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।