শুক্রবার ● ১৩ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » এসো হে বৈশাখ এসো এসো “পহেলা বৈশাখ” বাংলা নববর্ষ ১৪২৫
এসো হে বৈশাখ এসো এসো “পহেলা বৈশাখ” বাংলা নববর্ষ ১৪২৫
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (৩০ চৈত্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩৩মি.) বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ বর্ষবরণের আমেজ চলছে সর্বত্রই। বাংলা একাডেমি কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক পঞ্জিকা অনুসারে নির্দিষ্ট করা হয়েছে এদিনটি কে। প্রতিবছর ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের উৎসব পালিত হয়। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য বাংলাদেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে থাকে বিশেষ ছুটির দিন। জনগোষ্ঠীর চৈত্রসংক্রান্তি হালখাতা ও বর্ষবরণ উপলক্ষে নানা আয়োজন নিয়ে পহেলা বৈশাখ দিনে সকাল থেকে বর্ণাঢ্য উৎসবে মেতে উঠবে বাংলাদেশ জুড়ে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের দিন হিসেবে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিও এই উৎসবে অংশ নেয়। নতুন বছরের উৎসবের এদিনে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামা-কাপড় পরে এবং আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়ি ঘর পরিষ্কার করা হয় এবং মোটামুটি সুন্দর করে সাজানো হয়। বাসন্তী শাড়িতে সাজে মেয়েরা। পুরুষেরাও নানা রঙের ফতুয়া-পাঞ্জাবিতে সজ্জিত হয়ে। বাদ পড়ে না শিশুরাও। বাঁশি, একতারা, ডুগডুগি, বেলুন, মুখোশ আর নানা খেলনা তাদের মাতিয়ে রাখে। বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও থাকে। সকাল এলাকার মানুষ মিলিত হয়ে খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় পহেলা বৈশাখীর উৎসব। অনেক স্থানে ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার ব্যবস্থাও থাকে। এদিন বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয় কোথাও কোথাও। পাহাড়ী জনপথে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বৈসাবী উৎসব শুরু হয়েছে গত ১২ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) থেকে। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় গুলোতে তিনটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তা রয়েছে। প্রত্যেকেরই বছরের নতুন দিনে উৎসব আছে, চাকম্াদের বিজু, মারমাদের সাংগ্রাই ও ত্রিপুরাদের বেশু উৎসব। পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর মানুষ এই তিনদিনকে প্রধান সামাজিক উৎসব হিসেবে পালন করে থাকেন। বর্তমান সময়ে তিনটি জাতিসত্তা এক সাথে এই উৎসবটি পালন কওে থাহে, আর উৎসবটির নাম হলো “বৈসাবি”। উৎসবের নানা দিক রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম একটি হলো, মারমাদের পানি উৎসব খেলা। সারা বিশ্বের মানুষ অতীত বছরের দুঃখ-কষ্ট ভুলে এ দিনে নতুন বছরকে বরণ করে নিবে। বর্ষবরণ উপলক্ষে গত কয়েক দিন থেকেই ব্যস্থ সময় পার করেছে উৎসবমুখী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গুলো। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা নতুন ভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষ হিসেবে বরণ করে নেয়। আর এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় “হালখাতা”। পুরনো খাতার হালনাগাদ ও নতুন খাতার অভিষেক এর মধ্যদিয়ে হালখাতার আয়োজন বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যে অস্থিরতা দূর করুক এটাই নতুন বছরের প্রত্যাশা করে।
এসো মিলি প্রাণের উৎসবে, বাঙালির সংস্কৃতির নানা আয়োজনে বর্ণিল হোক এবারের পহেলা বৈশাখ। বাংলাদেশের মানুষের জন্য বাংলা নববর্ষ বয়ে আনুক অনাবিল সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি। শুভ নববর্ষ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ।