মঙ্গলবার ● ১৭ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » পানছড়িতে লুকিয়ে রাখা ১২৭ পিছ ত্রানের ঢেউটিন উদ্ধার
পানছড়িতে লুকিয়ে রাখা ১২৭ পিছ ত্রানের ঢেউটিন উদ্ধার
পানছড়ি প্রতিনিধি :: (৪ বৈশাখ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.০০মি.) খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় ত্রান মন্ত্রানালয়ে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের সাধারন বরাদ্ধের ২৭ বান্ডিল টিন অবৈধভাবে বাজার জাত করার অভিযোগে ভিত্তিতে ১২৭ পিছ উদ্ধর করে প্রশাসন।
জানা যায়, পানছড়ি উপজেলায় ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের ত্রান মন্ত্রানালয় হতে বিভিন্ন প্রতিষ্টানের দুস্থদের মাঝে বিতরনের জন্য সাধানর বরাদ্ধের ২৭ বান্ডিল টিন আসে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশেকুর রহমানের তথ্য মতে (১) কংচারী পাড়া মায়াবিনী লেক পর্যটন কেন্দে, কংচারী পাড়া -৪ বান্ডিল (২) উপজেলা জামে মসজিদ, পানছড়ি -১ বান্ডিল (৩) ওমর পুর মাদ্রাসা ও হেফজখানা, ওমর পুর -২ বান্ডিল (৪) জিরানী খোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় -৫ বান্ডিল (৫) লোগাং বাজার বিগ্রহ কালী মন্দির, লোগাং বাজার- ২ বান্ডিল (৬) যুবনিকা চাকমা, ধুদুকছড়া- ২ বান্ডিল (৭) মনোয়ারা বেগম, ছনটিলা- ১ বান্ডিল (৮) আঃ মালেক মালু, দমদম-২ বান্ডিল (৯) রিজার্ভ, উপজেলা পরিষদ- ১ বান্ডিল (১০) সুমিতা ত্রিপুরা নব রঞ্জন কার্বারী পাড়া -১ বান্ডিল (১১) মিন্টু সাওতাল, সাওতাল পাড়া -১ বান্ডিল (১২) রত্না শীল, সাওতাল পাড়া -১ বান্ডিল (১৩) রেনু দত্ত, সাওতার পাড়া- ১ বান্ডিল (১৪) মানিক সাওতাল, সাওতাল পাড়া -১ বান্ডিল (১৫) সুমি আক্তার, কলোনী পাড়া- ১ বান্ডিল সহ সর্ব মোট ২৭ বান্ডিল (২১৬) পিছ বিতরন করা হয়েছে।
১৫ এপ্রিল -২০১৮ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা নিকট ওমরপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. জমসেদ আলী বাদি হয়ে ত্রান মন্ত্রানালয়ের ঢেউটিন অবৈধভাবে আত্নসাতের অভিযোগ করে।
গতকাল ১৬ এপ্রিল ২০১৮ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাসেম সরজমিনে তদন্তে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাষ্টার রোলের কর্মচারী মো. মাসুদ রানা, পিতা সাদের আলী, ওমপুৃর এর বাড়ী ও বিভিন্ন স্থানে লুকানো রাখা ১২৭ পিছ ঢেউটিন উদ্ধার করে উপজেলা মিলনায়তনে সংরক্ষন রাখেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন আশেকুর রহমানের নিকট ত্রান সামগ্রী বিক্রয় নিষিদ্ধ সরকারী সম্পদ কিভাবে মাসুদের বাড়ীতে যায় জানতে চাইলে তিনি বলেন এই বিষয়টির ব্যাপারে আমার জানা নাই্। মাসুদ অন্যায় করে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা ন্ওেয়া হবে।
অপরদিকে অভিযোগকারী জমসেদ আলী বলেন, পিআইও আশেকুর রহমান সম্ভবত এর সাথে জড়িত। তা না হলে ইউএনও সাহেব সরকারী সম্পদ ঢেউটিন জব্দ করার পর পিআইও মাসুদকে আইনের কাছে সোর্পদ না করে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে এবং স্থানীয়দের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুর পাক খাচ্ছে।