বৃহস্পতিবার ● ১৯ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » গাজিপুর » সাধারণ বন্দিদের বালিশ দেয়া হবে : কারা মহাপরিদর্শক
সাধারণ বন্দিদের বালিশ দেয়া হবে : কারা মহাপরিদর্শক
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (৬ বৈশাখ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৪৫মি.) কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেছেন, সাধারণ সব বন্দিদের বালিশ দেয়া হবে। তাদের বর্তমানে তিনটি করে কম্বল দেয়া হলেও কোনো বালিশ দেয়া হয় না। সেখান থেকে একটি করে কম্বল কমিয়ে তার পরিবর্তে প্রত্যেক বন্দিকে একটা করে বালিশ দেয়া হবে। এর টেন্ডারের কাজ চলছে। আশা করছি আগামী অর্থবছরেই এটা দিতে পারব।
আজ ১৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্যারেড গ্রাউন্ডে ৫১তম ব্যাচের কারারক্ষী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে শুধু ভিআইপি ও অসুস্থ বন্দিদের কম্বলের সঙ্গে বালিশ দেয়া হলেও সাধারণ বন্দিদের কোনো বালিশ দেয়া হয় না। তাদের শুধু তিনটি করে কম্বল দেয়া হয়।
কারা মহাপরিদর্শক আরও বলেন, ঔপনিবেশিক আমলের প্রিজন অ্যাক্ট-এর মাধ্যমে আমরা পরিচালিত হচ্ছিলাম। আমাদের মাঝে ঔপনিবেশিক মনোভাবও ছিল। আমরা তা ভুলে যেতে চাই। আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের চেতনা ধারণ করে নতুনভাবে আমাদের কারাগারগুলো পরিচালনা করতে চাই। তারই ধারাবাহিকতায় কারাগারগুলোকে সংশোধনাগারে রূপান্তিরিত করার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রায় দুইশ বছরের পুরাতন যে প্রিজন অ্যাক্ট আছে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় সেটাকে নতুন করে প্রণয়ন করার কাজ চলছে। আমরা আশা করছি এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সেটি পার্লামেন্টের সভায় অনুমোদন লাভ করবে। একই সঙ্গে জেল কোডও সেভাবে সংশোধিত হবে। তাতে সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।
সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, বিপথগামী মানুষদের চারিত্রিক সংশোধনের লক্ষ্যে দেশের কারাগারগুলোকে কল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান ও সংশোধনাগারে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়া চলমান আছে। কারা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির কাজ চলছে। কারাবন্দিদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যেমে দক্ষতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আমাদের কারাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাইরের বিভিন্ন দেশের কারাগারগুলো পরিদর্শন করছেন এবং তাদের থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের কারাগারগুলোকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছি।
কারা মহাপরিদর্শক বৃহস্পতিবার দুপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ চত্বরে বন্দি পুনর্বাসন প্রশিক্ষণের জন্য স্থাপতি এম্ব্রয়ডারি ও মোজা তৈরি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় অতিরিক্ত কারা মহা-পরিদর্শক কর্নেল মো. ইকবাল হাসান, কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. বজলুর রশীদ, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা ও কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কারা চত্বরে মহাপরিদর্শক ৫১তম ব্যাচের কারারক্ষীদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের সমাপনী কুজকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং নতুন তিন কারারক্ষীকে পুরস্কৃত করেন। তাদের মধ্যে সর্ব বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী মো. আল আমিন মল্লিক, দ্বিতীয় হন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী মো. সাব্বির হোসেন এবং বেস্ট ফায়ারারের পুরস্কার পান নেত্রকোনা জেলা কারাগারের মো. কিবরিয়া হাসান রবিন।