শুক্রবার ● ২০ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (৭ বৈশাখ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সকাল ১১.০৪মি.) সিলেটের বিশ্বনাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৭বছর বয়সী এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে আক্তার মিয়া (২২) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করছে পুলিশ। সে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের আমতৈল ফকিরটিলা গ্রামের গৌছ উদ্দিনের পুত্র। এঘটনায় পশ্চিম ধলিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ধর্ষণের শিকার হওয়া তরুণীর পিতা বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত আক্তার মিয়াকে আসামী করে বুধবার (১৮ এপ্রিল) রাতে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ১৮।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত আক্তার মিয়ার বাড়ি তার (বাদির) বাড়ির পাশ্ববর্তি আমতৈল ফকিরটিলা গ্রামে। আক্তার মিয়ার বড় বোন রোকসানা বেগম সম্পর্কে বাদীর মামাতো ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী আতাউর রহমান উরফে সিরাজ এর ২য় স্ত্রী। নির্যাতিত তরুণীর পিতা ও প্রবাসী আতাউর রহমান উরফে সিরাজ পাশাপাশি ঘরের বাসিন্দা। আতাউর রহমান উরফে সিরাজ তার ১ম স্ত্রীকে নিয়ে লন্ডনে বসবাস করেন। আর তার ২য় স্ত্রী রোকসানা বেগম পশ্চিম ধলিপাড়া গ্রামের স্বামীর বাড়িতে বসবাস করেন। প্রায় ১৫মাস পূর্বে ঐ তরুণী (ভিকটিম) কে কাজকর্ম ও বাচ্চাকে দেখাশোনা করার জন্য রোকসানা বেগম তার ঘরে নিয়ে যান। রোকসানা বেগম বাড়িতে একা বসবাস করায় মাঝে মধ্যে তাকে দেখাশোনা করার অজুহাতে তার ছোট ভাই আক্তার মিয়া বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। এরই ধারাবাহিকতায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলাইয়া প্রতারণামূলকভাবে ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর থেকে গত ১০ মার্চ এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বাদির মেয়েকে (ভিকটিম) রোকসানা বেগমের বসত ঘরের ছাদের উপর নিয়ে ধর্ষণ করে তাকে গর্ভবতী করে আক্তার মিয়া। একপর্যায়ে ভিকটিমকে তার মা শারীরীক অবস্থা দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, বাড়ির মালিক রোকসামা বেগমের ছোট ভাই আক্তার মিয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে (ভিকটিম) একাধিকবার ধর্ষণ করে অন্তসত্বা করেছে। সে বর্তমানে ২/৩ মাসের অন্তসত্বা। গত ১০ মার্চ রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় ভিকটিমকে পূর্বের ন্যায় ঘরের ছাদে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করলে সে আক্তার মিয়াকে অন্তসত্বা হওয়ার বিষয়টি জানায় এবং তাকে বিয়ে করার কথা বলে। এসময় বিয়ে করতে অস্কৃতি জানায় আক্তার। বিষয়টি ভিকটিমের বাবা (বাদী) স্থানীয় লোকজনকে জানালে তারা আপোষে মিমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বলে বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন।
এদিকে থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার (১৮এপ্রিল) রাতে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত আক্তার মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এরপর ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯এপ্রিল) দুপুরে আটককৃত আক্তার মিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, থানায় অভিযোগের পর সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আক্তার মিয়াকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ভিকটিমকে হাসপাতালে নিবির পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।