রবিবার ● ২২ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশংকায় বিশ্বনাথে বোরো ধান কাটার ধুম
প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশংকায় বিশ্বনাথে বোরো ধান কাটার ধুম
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (১০ বৈশাখ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.২৪মি.) সিলেটের বিশ্বনাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশংকায় আবাদকৃত বোরো ধান কাটার ধুম পড়েছে। গতকাল (২১এপ্রিল) শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ফেসবুক আইডি ও উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশংকা থাকার কারণে এলাকার কৃষকদের পাঁকা বোরো ধান দ্রুত কাটার জন্য এ আহবান করা হয়। এ সংক্রান্ত একটি রির্পোট প্রকাশিত হয়। সংবাদ পরে এলাকার অনেকেই পাকা ও আধা পাকা বোরো ধান কাটতে শুরু করেছেন। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় বোরো ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশংকায় এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ বোরো ধান কাটতে শুরু করেছেন।
জানাগেছে, গত বছরে আগাম বন্যায় হাওরের ফসল রক্ষা বাধ ভেঙ্গে কাচা ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার সবক’টি হাওর থেকে কৃষকরা এক মুঠো ধান গোলায় তুলতে না পারলেও চলতি বোরো মৌসুমে হাওরে বাম্পার ফসল হওয়ায় এবার কৃষক কৃষানীদের মধ্যে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ সহায়তায় ভিজিডি, ভিজিএফ চাল, নগদ অর্থ এবং কৃষি উপকরণ, সার বিজ, কৃষকদের প্রনোদনাসহ সকল প্রকার সহযোগিতা এখনো চলমান রয়েছে। বোরো মৌসুমের শুরুতেই এলাকাজুড়ে দেখা যাচ্ছে সবুজের সমারোহ। আগাম ফলনকৃত ধান পেঁকে যাওয়ায় কৃষকরা ধান কাটার যন্ত্র নিয়ে সকাল থেকেই জমির দিকে ছুটে যাচ্ছেন আর কৃষানীরা তাদের সোনালি ফসল গোলায় উঠাতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার উপজেলার কৃষকদের মনে আনন্দেও বন্যা বইছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো চাষাবাদ হয়েছে ১৩হাজার ৭৯৮ হেক্টর। এর মধ্যে উপশী জাতীয় ধান চাষ করা হয়েছে ১৩হাজার ৭৬৮হেক্টর জমিতে। হাইব্রিড চাষ করা হয়েছে ৮৮০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের টেপু, গর্চি, গাছমাল ১৫০ হেক্টর। উপজেলার হাওরগুলোতে ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে সকল ধান গোলায় তুলতে আরো ১০-১৫দিন সময় লাগবে।
কৃষক রইছ আলী বলেন, প্রাকৃতিক দুযোর্গের আশংকার খবর শুনে জমিতে থাকা বোরো ধান কাটা শুরু করেছি। তবে দুই-তিন দিনের মধ্যে আমার সকল ধান কাটা শেষে হয়ে যাবে। এবছর ধানের ফলন ভাল হওয়ায় কিছুটা ভাল লাগছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আলীনূর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগেই কৃষকরা তাদের বোরো ধানগুলো কেটে ঘরে তুলার আহবান জানানো হয়েছে। এতে এলাকার কৃষকরা ধান কাটায় এখন ব্যস্ত রয়েছেন। আশাকরি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রি-ধান ২৯ ছাড়া উপজেলার শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ হবে।