বৃহস্পতিবার ● ২৬ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » থানায় স্বীকারোক্তি : ছেলের ওপর প্রতিশোধ নিতেই মায়ের পা কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে
থানায় স্বীকারোক্তি : ছেলের ওপর প্রতিশোধ নিতেই মায়ের পা কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে
বাগেরহাট অফিস :: (১৩ বৈশাখ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৫৬মি.) ছেলের ওপর প্রতিশোধ নিতেই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর মোস্তফা কামালের মা হোসনে আরা বেগমের (৭০) পা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ঘটনার মূল হোতা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদারকে (৩০) আটকের পর আজ ২৬এপ্রিল বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন একথা। গত ২৪ এপ্রিল রাতে র্যাব-১ এর সদস্যরা আলাউদ্দিনকে ঢাকা বিমান বন্দর এলাকা থেকে আটক করে শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গত ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া কালিবাড়ি গ্রামের নূরুল ইসলাম হাওলাদারের স্ত্রী ও মেজর মোস্তফা কামালের মা হোসনে আরা বেগমকে ধারালো রাম দা দিয়ে কুপিয়ে তার বাম পা বিচ্ছিন্ন করে দেয় ওই আলাউদ্দিন। ঘটনার পরদিন ২১ এপ্রিল রাতে মেজরের চাচা মো. ফজলুল হক হাওলাদার বাদি হয়ে ৮জনকে আসামী করে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার সূত্র ধরে র্যাব তাকে আটক করে। আলাউদ্দিন শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের জীবনদুয়ারি গ্রামের মতিয়ার রহমান হাওলাদারের ছেলে।
শরণখোলা থানায় জিজ্ঞাসাবাদে আলাউদ্দিন জানান, তারা তিন ভাই ও বাবা ঢাকাতে মেজর মোস্তফার ছত্রছায়াতেই থাকেন। তিনি নিজে আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। বাবা মতিয়ার রহমান এবং আবুল বাশার ও ইদ্রিস নামের তার দুই ভাই নির্মান শ্রমিকের কাজ করেন। গত পনের দিন আগে মেজর মোস্তাফার ঢাকার ডিওএইচএস ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় তার মার্কেটে কালু নামের এক ভাড়াটিয়ার দোকান চুরি হয়। মেজরের নির্দেশে ওই চুরির ঘটনায় তার ভাই বাশার ও ইদ্রিসের নামে মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়। আলাউদ্দিন বিষয়টি মেজরের কাছে জানতে চাওয়ায় তাকেও ওই মামলায় সংযুক্ত করা হয়। নির্দোষ হয়েও চুরির মিথ্যা অভিযোগে হয়রানির শিকার হওয়ায় মেজরের ওপর ক্ষুব্ধ হয় আলাউদ্দিন। একপর্যায়ে প্রতিশোধ নিতে গ্রামের বাড়িতে এসে তার মায়ের পা কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শরণখোলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজুর রহমান শেখ জানান, র্যাব-১ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ২৪ এপ্রিল রাতে ঢাকা বিমান বন্দর এলাকা থেকে আলাউদ্দিনকে আটক করে ২৫ তারিখ রাতে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। মামলায় তার বাপ-ভাই ও আত্মীয়স্বজনসহ ৮ জনকে আসামী করা হয়েছে। তবে, আসামী আলাউদ্দিন জানান, বগুড়ার শেরপুর এলাকায় তার এক শ্যালকের বাসা থেকে র্যাব সদস্যরা তাকে আটক করেছে।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম বলেন, আলাউদ্দিনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।