রবিবার ● ২৯ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » আক্কেলপুরে স্টেশনের চেয়ে ট্রেন দীর্ঘ : ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের ওঠা-নামা
আক্কেলপুরে স্টেশনের চেয়ে ট্রেন দীর্ঘ : ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের ওঠা-নামা
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি :: (১৬ বৈশাখ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.৩৭মি.) জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে রেলস্টেশনের চেয়ে ট্রেন অতিরিক্ত বড় হওয়ায় যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে ওঠা নামা করতে হিমশিম হতে হচ্ছে। তারপরেও রয়েছে স্টেশনের নানা সমস্যা। বর্তমানে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর ১৪টি কোচ রয়েছে। আক্কেলপুর রেলওয়ে স্টেশনের সেডের মধ্যে আটটি কোচ (বগি) থাকে। বাকি চারটি কোচ স্টেশনের বাইরে এসে দাঁড়ায়। ফলে চারটি কোচের যাত্রীদের নিচ থেকে ঝুঁকি নিয়ে ওঠা নামা করতে হয়। অনেক সময় মালামালসহ ট্রেনে উঠতে বা নামতে গিয়ে দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হয়।
আক্কেলপুর স্টেশনের সহকারী মাস্টার হাসিবুল হাসান বলেন, স্টেশন বৃদ্ধি হওয়া অত্যন্ত জরুরি। প্লাটফরমের বাইরের কোচের যাত্রীদের ওঠা নামা করা কষ্টকর। প্লাটফরমটি বৃদ্ধি হওয়ার প্রক্রিয়া হয়েছিল। তবে অজ্ঞাত কারণে বন্ধ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, স্টেশনের আয় বেড়েছে তবে সমস্যা রয়েছে অনেক। সমাধানের ব্যবস্থা হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। যাত্রী ছাউনি সীমিত পরিমাণ রয়েছে। সীমিত ছাউনির মধ্যে সংকুলান হয় না। অনেক সময় যাত্রীদের রোদ কিংবা বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। নিরাপত্তার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। অর্ধেক বাউন্ডারী প্রাচীর রয়েছে। বাকি অর্ধেক না থাকায় প্রায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়ে থাকে। সহকারী স্টেশন মাস্টার জানান, সপ্তাহে ৩/৪ দিনই পকেট মারার অভিযোগ পেয়ে থাকি। স্টেশনে পুলিশ ফাঁড়ির প্রয়োজন।
স্টেশনের মেইনটান্স ম্যান আবুল কাশেম বলেন, আমাদের কোয়ার্টার না থাকায় বাহিরে থাকতে হয়। কোয়ার্টারগুলো সাধারণ মানুষ দখল করেছে। ফলে রেলওয়ে সরকারি রাজস্ব পাচ্ছে না। কোয়ার্টারগুলো রেলওয়ের কর্মকর্তা কিংবা কোন কর্মচারী ব্যবহার করে না। শুধু একজন পয়েন্টস ম্যান কোয়ার্টার ব্যবহার করেন। খুলনাগামী সীমান্ত ট্রেনের পোড়াদহ, ইশ্বরদী, যশোর ও ভেড়ামারা স্টেশনের কোন আসন নেই। ফলে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থেকে যেতে হয়। ঢাকাগামী আন্তঃনগর একতা, নীলসাগর, দ্রতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় যাত্রীগণ প্রায় সময় হয়রানির স্বীকার হয়ে থাকেন। অপরদিকে স্টেশন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এক শ্রেণির দালাল ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট আগেই ক্রয় করে কালো বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রির অভিযোগ ও রয়েছে। স্টেশনের সামনে দোকান পাট নির্মাণ করার ফলে ভ্যান, অটোরস্ট্যান্ড সংকুচিত হওয়াই দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে।