মঙ্গলবার ● ১ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাঙ্গুনিয়ায় ঝড়ো হাওয়ায় ২২ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন
রাঙ্গুনিয়ায় ঝড়ো হাওয়ায় ২২ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি :: (১৮ বৈশাখ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৩৫মি.) ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ক্ষতি হয়ে চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়ায় গতকাল সোমবার (৩০ এপ্রিল) থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ২২ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন ছিল। সোমবার বেলা দেড়টার দিকে বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ার পর চালু হয় সন্ধ্যা ৭ টার দিকে। তাও বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়েছিল উপজেলা সদর, আশ পাশ এলাকা ও চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান বাজারে। পৌরসভার কিছু এলাকা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আজ মঙ্গলবার সাড়ে ১১ টার দিকে চালু হয়। অনেক এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ চালু হয়নি বলে খবর পাওয়া গেছে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পল্লী বিদ্যুতের অধীন। ৩৩ ও ১১ কিলোভোল্টের বিদ্যুৎ সঞ্চালন রয়েছে ১ হাজার ৩ শ কিলোমিটার। উপজেলা সদর, পৌরসভা ও ১৫ ইউনিয়নে ৭৯ হাজার গ্রাহক রয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের রাঙ্গুনিয়া কার্যালয়ের সহকারি ব্যবস্থাপক (অপারেশন এন্ড মেইনটেন্যান্স) জুয়েল দাশ বলেন, “প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায় শ’খানেক তারের উপর গাছ ভেঙ্গে পড়ে তার ছিঁড়ে যায়। ৩৩ হাজার ভোল্ট, ১১ হাজার ভোল্ট ও ছোটখাট সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়।”পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় সূত্র জানায়, “সোমবার দুপুর থেকে আকষ্মিক ঝড়ো হাওয়ায় লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে ৩৩ হাজার ভোল্টের সঞ্চালন লাইন মেরামত করে উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে সময় লাগে। ”দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে গ্রাহকদের। মরিয়ম নগর গ্রামের বাসিন্দা মো. সেলিম বলেন, সোমবার দুপুর থেকে বিদ্যুৎ ছিলনা। রাতে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার ব্যাঘাত ঘটেছে। এছাড়া ফ্রিজের জিনিসপত্রও নস্ট হয়ে গেছে।সৈয়দবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মাহাবুবুল আলম বলেন, “ প্রায় ১ দিন বিদ্যুৎ না থাকায় সীমাহীন কষ্টে পড়তে হয়। ইছামতি গ্রামের যুবক মো. আরমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ প্রায় সময় বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে লাইনের উপর ঝুঁকিপূর্ন গাছ কাটা হয়। তবুও সামান্য ঝড় বৃষ্টিতে গাছ পড়ে লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষরা বলে থাকেন। ঝড় বৃষ্টিতে গাছ যদি লাইনে পড়ে তাহলে এত গাছ কোথায় কাটা হয়।”পল্লী বিদ্যুতের রাঙ্গুনিয়া কার্যালয়ের উপ-ব্যবস্থাপক মো. নুরুল হোসেন বলেন, “আকষ্মিক ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাত জেগে কাজ করে বিদ্যুৎ লাইন দেয়া হচ্ছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যেখানে লাইন দিতে একটু সময় লাগে। সব জায়গায় কাজ করে শতভাগ সংযোগ দিতে একটু সময় লাগবে।