শনিবার ● ৫ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » পরিক্ষায় ফেলকরে অাত্মহত্যা কি সঠিক কাজ ?
পরিক্ষায় ফেলকরে অাত্মহত্যা কি সঠিক কাজ ?
আমির হামজা :: পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে এবং পরীক্ষা ফলাফল দেওয়ার সময় প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী মধ্য একঠি ভয় চলে অাসে, তবে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এবং পরীক্ষার ফলাফল বেরনোর আগের সময়টুকু একজন ছাত্র বা ছাত্রীর পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে তাদের উপর নানারকম চাপ সৃষ্টি হয়ে থাকে। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার প্রত্যাশা যেমন তাদের নিজেদের থাকে, তেমনিভাবে পরীক্ষার্থীর বাবা-মা বড় ভাই-বোনের এবং শিক্ষকরাও তাদের কাছ থেকে ভালো ফলাফলের আশা করেন। এত সব প্রত্যাশার চাপের মোকাবিলা করতে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা হিমশিম খেয়ে যায়।
যখন পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয় সবাই অাশায় বসে থাকেন আমি পার্স করবো, কিন্তু দেখাযায় যখন পরিক্ষার রেজাল্ট বেড় হয়েছেন একজন শিক্ষার্থী খবর পেল, তার রেজাল্ট ভাল হয়নি সমাজের মানুষের ও স্কুল, কলেজ এর বন্ধু-বান্ধী দের লজ্জাবশত তখন সেই পথ খুঁজে নিল আত্মহত্যা করার সম্ভাবনা অত্যন্ত প্রবল হয়ে ওঠে।
আসলে কি ঠিক অাত্মহত্যা করা সঠিক কাজ, না পরিক্ষায় ফেল করা মানে নয় একজন পরিক্ষার্থী পড়া-লেখার এখানে শেষ, আপনি হয়তো কোন স্থানে পড়ালেখার মধ্য একটু খারাপ বা হতে পারে অনেক ভাল, অনেক সময় দেখাযায় একজন পরিক্ষায় ফেল করছেন তার রেজাল্ট যদি পূর্ণ-নিরীক্ষণ করলে এর মধ্য আবার ভাল ফলাফল হয়ে, আবার না হতে পারে, তার মানে নয়যে আমি পরিক্ষায় ফেল করছি আমার জীবন এখানে শেষ হয়েগেছে এটাই নয়, আপনি যে বিষয়ে র্পাস করতে পারেনি আবার সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাকে আবারো ভাল করে পড়া-লেখার করে পরিক্ষার প্রসূতি নিয়ে সবাইকে দেখাতে হবে আমিও পাড়ি সামনের জীবন গড়ে তুলতে, “(কথায় আছে একবার না পাড়িলে দেখ শতবার)” এই বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কারন আমার জীবনের মূল্য আমার জন্য অনেক বেশি, আমি অাত্মহত্যা করলে কি পরিক্ষায় ফেলের সমাধান হবে, অামার জীবন কি আমার বন্ধু-বান্ধী ফিরে দিতে পারবে না, আমার যে ভুল হয়েছেন তাকে আমার সমাধান করতে হবে, আমাকে আরো ভাল করে পড়ালেখার করে সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে হবে (আমিও পাড়ি)।
এদিকে (চট্টগ্রামে শিক্ষা বোর্ডর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক) অধ্যক্ষ সাহাব উদ্দিন বলেন, পরীক্ষায় পাস ফেল আছে সেটাই সারা জীবন থাকবে, আমি পাস করতে পারিনাই তার মানে নয় যে আমি আর পড়ালেখা করতে পাড়বনা, একজন পরিক্ষার্থী খারাপ ফলাফল হলে তাকে হতাশা না হয়ে, তাকে আরো চিন্তা করতে হবে যে আমাকে আরো বেশি মনযোগী হয়ে পড়তে হবে।
পরিক্ষায় ফেলকরে অাত্মহত্যা লক্ষণ….
যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বেশি পরিমাণে মানসিক বাবে চাপের সৃষ্টি হয়, তাদের কথাবার্তার মধ্যেও এর লক্ষণ ফুটে ওঠে। যেমন— ”যদি আমি মরে যেতাম, তাহলে আর আমাকে পরীক্ষা দিতে হত না” বা ”আমার জন্যই বাবা-মা এত চিন্তিত” প্রভৃতি নেতিবাচক মনোভাব দেখা যায়।