মঙ্গলবার ● ৮ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » গাজিপুর » গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিতে ক্ষুব্ধ প্রার্থী ও ভোটাররা
গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিতে ক্ষুব্ধ প্রার্থী ও ভোটাররা
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২৫ বৈশাখ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.০৪মি.) গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রার্থী ও ভোটাররা। গত দুই সপ্তাহে প্রার্থীদের টানা প্রচারণায় নির্বাচনী আমেজ ছিল জমজমাট।
প্রচারণা যখন তুঙ্গে ঠিক সেই মুহূর্তে আদালত নির্বাচন স্থগিত করায় স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা নগরী। নির্বাচন স্থগিতাদেশের পর থেকে মহানগরীতে এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে।
নির্বাচন বন্ধ হওয়ার পর আদৌ নির্বাচন হবে কিনা? এমনটা ভেবে সংরক্ষিত মহিলা ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা চরম হতাশায় ভুগছেন। অনেক প্রার্থী আগে থেকেই নির্বাচনী মাঠ গুছিয়ে রেখেছিলেন।
এরই মধ্যে তারা অনেক টাকাও খরচ করে ফেলেছেন। তাদের অনেকেই উপার্জনের জমানো টাকা খরচ করে, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতদের থেকে ধার-দেনা করে ঋণী হয়ে গেছেন। জয়ী হবেন এমন আশায় অনেকে নিজের মূল্যমান জিনিসপত্র ও জমি বিক্রি করে নির্বাচনে নেমেছেন।
নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি নিয়ে সিটির সর্বত্র চলছে আলোচনা সমালোচনা। পাশাপাশি স্থগিতাদেশ কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, আপিলে কী হবে- তা নিয়েও বিশ্লেষণ চলছে।
৭ মে সোমবার সিটির বিভিন্ন হাটে-বাজারে-মার্কেটে, পাড়ায়-মহল্লায়, অলিতে-গলিতে, বাসা-বাড়ির সামনে লোকজনের জটলায় একটি বিষয়েই আলোচনা-সমালোচনা চলে, তা হল নির্বাচন স্থগিত। নির্বাচন স্থগিত হওয়ার বিষয়ে গাজীপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সোহরাব উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা নির্বাচনে পরীক্ষা দিতে ভয় পায়। তাই বিজ্ঞ আদালতের একটি মীমাংসিত ইস্যু সামনে টেনে এনে নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে স্থগিত করা হয়েছে।
কাউন্সিলর প্রার্থীরা হতাশ : গাজীপুর সিটি নির্বাচন হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত হওয়ায় মহানগরীর ২৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ নাসিমুল ইসলাম মনির বলেন, ‘ভোটগ্রহণের বাকি ছিল মাত্র ৮-৯ দিন। শুধু অপেক্ষায় ছিলাম ফসল ঘরে তোলার।
কিন্তু এ নির্বাচন আর অনুষ্ঠিত হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এরই মধ্যে আমার অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। আর্থিক ও মানসিকভাবে আমি চরম ক্ষতিগ্রস্ত।’