মঙ্গলবার ● ৮ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » জাতীয় » রবীন্দ্রনাথ এলাকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে যে অবদান রেখেছেন তা অবিস্মরণীয় : ডেপুটি স্পীকার
রবীন্দ্রনাথ এলাকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে যে অবদান রেখেছেন তা অবিস্মরণীয় : ডেপুটি স্পীকার
আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: (২৫ বৈশাখ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.২৩মি.) জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার এড. ফজলে রাব্বি মিয়া বলেছেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেটাকে বাস্তবে রুপদানের চেষ্টা করেছে। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটাকে বাস্তবে রুপদান করেছেন। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ এলাকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে যে অবদান রেখেছেন তা অবিস্মরণীয়। স্থানীয়দের পতিসরে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ যেহেতু কৃষিপ্রেমি ছিলেন, নওগাঁ যেহেতু সারা দেশের শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত সেহেতু পতিসরে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন যেিৈক্তক। তিনি আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হোন এবং শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন। তাহলে পতিসরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হবে ইনশাআল্লাহ। আজ মঙ্গলবার কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত আত্রাইয়ের পতিসর কাচারিবাড়ির দেবন্দ্র মঞ্চে বিশ্বকিব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭ তম জন্মোৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ শহিদুজ্জামান সরকার এমপি, মো. ইসরাফিল আলম এমপি, ছলিম উদ্দিন তরফদার এমপি, আবুল কালাম এমপি, নওগাঁ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ (অব:) শরিপুল ইসলাম খান, নওগাঁ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, আত্রাই উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ এবাদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোখলেছুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলাল, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল ও এম মতিউর রহমান মামুন প্রমুখ।
উল্লেখ্য কবির জন্মোৎসবকে ঘিরে গোটা পতিসর এলাকায় সৃষ্টি হয় উৎসবের আমেজ। কবিভক্তদের পদচারণায় কাচারিবাড়ি চত্বর হয়ে উঠে মুখোরিত। তাঁর ১৫৭ তম জন্মোৎসব অনুষ্ঠান দুইভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম পর্বে স্মৃতি চরণ ও আলোচনা সভা এবং দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।