শুক্রবার ● ১১ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ে শেষ বৈশাখী মেলা উদযাপন
বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ে শেষ বৈশাখী মেলা উদযাপন
বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :: (২৮ বৈশাখ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৫১মি.) বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ে লক্ষাধিক নারী পুরুষ ভক্ত আসেকানদের উপস্থিতিতে পালিত হলো শেষ বৈশাখী উৎসব।
হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী মাহীসওয়ার (রহ:) এর বিজয় দিবস। সূদুর বল্লখ প্রদেশ থেকে ইসলাম প্রচারে আগমনকারী হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী মাহীসওয়ার (রহঃ) এর বিজয় দিবস উপলক্ষে জাকজমক পূর্ণভাবে দিনটি পালিত হলো মহাস্থানসহ আশপাশের এলাকায়।পরাক্রমশালী হিন্দু রাজা পরশুরামকে পরাজিত করে এদিনে তিনি এখানে ইসলামের পতাকা উড্ডয়ন করেছিলেন। প্রতিবছরের মতো এবারো লক্ষাধিক জিয়ারত কারীর পাশাপাশি জটাধারী পাগলা-পাগলীর আগমন ঘটে এই পুণ্যভূমিতে। হাজার হাজার নারী পুরুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে মহাস্থান মাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকা। রাতভর মাজার-মসজিদ এলাকায় জিকির মিলাদ মাহফিল ও নফল নামাজ নিয়ে মুসুল্লিগণ ব্যস্ত থাকে। অন্যদিকে সাধু সন্যাসী ভক্ত আসেকানরা মাযার থেকে একটু দুরে হযরত বোরহান আলী (রঃ) মাযার, মাযারের পাথর পট্রি, দুধপাথর, বাগান বাড়ী, মালখালী এলাকায় গঞ্জিকা সেবন করতে দেখা যায়।
প্রতি বছর দিনটি পালনের জন্য মহাস্থান গড় এলাকায় দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার ধর্ম প্রাণ মুসল্লী এবং আধ্যাত্মিক মতের অনুসারী নারী পুরুষের আগমন ঘটতে শুরু করে কয়েকদিন আগে থেকেই। আগত মুসল্লীবৃন্দ রাতভর মসজিদে ইবাদত বন্দেগী এবং আধ্যাত্মিক মতের নারী পুরুষগণ গত ৪/৫ দিন পূর্ব থেকেই নেচে গেয়ে মুর্শীদি ও মারফতি গানে মুখরিত করে তোলে গোটা মহাস্থান গড় এলাকা।
প্রতিবছরের মত এ বছরেও (গতকাল বৃহস্পতিবার) ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়। আগত মুসল্লীদের নিরাপত্তার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ, সদস্য ছাড়াও ডিবি, র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর পরিচালনায় আদালত পরিচালনা করতে দেখা যায়। মহাসড়কে যানজট নিরশনে ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ সার্বক্ষনিক দ্বায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়,সকালে আবহাওয়া একটু খারাপ হলেও বেলা ১১টার পর আবহাওয়া সম্পূর্ন ভালো থাকায় দেশের বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম গঞ্জ থেকে ভক্ত আসেকানরা মাজারে বাস, সিএনজি, ভটভটি যোগে আসতে দেখা যায়, এ উৎসবকে ঘিরে ঐতিহ্যবাহী কটকটি ব্যবসাও মোটামুটি ভালো হয়েছে বলে জানা যায়, এ উৎসবকে ঘিরে এলাকায় সাজ সাজ রব পড়ে যায় প্রতিটি বাড়িতে মেয়ে জামাই আত্মীয় স্বজন ভরপুর হয়। মেলায় এ পর্যন্ত কোন অপ্রতিকর ঘটনা ঘটে নাই। সব মিলে একদিনের এ উৎসব বেশ শান্তি পূর্ন ভাবেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।