রবিবার ● ১৩ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » জাককানইবি’র শিক্ষার্থীদের মারধধের ঘটনায় ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ : আটক-৪
জাককানইবি’র শিক্ষার্থীদের মারধধের ঘটনায় ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ : আটক-৪
ময়মনসিংহ অফিস :: (৩০ বৈশাখ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৪৫মি.) ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর ও বাস ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বেলতলী পয়েন্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়কের মাথায় অবস্থান নিয়ে ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখার ৩ ঘন্টা পর সন্ধা ৭ টার দিকে পুলিশের আশ্বাসে সড়ক খুলে দেয়ায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে।
আজ ১৩ মে রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মহাসড়কের বেলতলী পয়েন্ট ও ত্রিশাল উপজেলা সদরের জাককানবি’র সড়কের মাথায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রাখেন।পরে অবরোধের ৩ ঘন্টা পর পুলিশের আশ্বাসে সন্ধা ৭টার দিকে সড়ক খুলে দেয়ায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। জাককানবি’র শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন স্থানীয়দের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষক ও কমপক্ষে২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আরও জানান, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষকদের বহনকারী একটি বাস ময়মনসিংহ শহরের দিকে যাচ্ছিলো। এ সময় মহাসড়কের বেলতলী এলাকায় বাসটি পৌঁছলে ধানবাহী একটি ট্রাক ওই বাসটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।
ওই সময় শিক্ষকদের বহনকারী বাসের খানিকটা দূরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আরেকটি বাস তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার প্রতিবাদ করলে এ নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয় লোকজন একত্রিত হয়ে কমপক্ষে ২০ জন শিক্ষার্থীকে মারধর করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বাস ভাঙচুর করে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, এলাকাবাসীর হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সাইফুল ইসলামসহ ৪জন শিক্ষক আহত হয়েছেন।
দ্রুত এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর মহাসড়কের বেলতলী পয়েন্ট ও ত্রিশাল উপজেলা সদরের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ সড়কের মাথায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।এসময় ময়মনসিংহ থেকে ঢাকার মধ্যে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। সেইসাথে মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যাত্রীদেরও চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
অন্যদিকে জিরো পয়েন্টে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান আশ্বস্ত করলে তারা সন্ধা ৭টার দিকে ক্যাম্পাসে ফিরে যান।
ময়মনসিংহ সদর পুলিশ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আল আমিন এ ব্যাপারে জানান, আমরা ইতোমধ্যে ৪ জনকে আটক করেছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে সেই সাথে ক্ষতিপূরণ এর ব্যবস্থাও করা হবে।
উল্লেখ্য এ হামলায় ৪ জন শিক্ষকসহ অন্তত ২০জন শিক্ষার্থী আহত হয়। যাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর। এদের অধিকাংশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল ও সিবিএমসিতে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ট্রাক ড্রাইভারসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।