সোমবার ● ১৪ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » কাজ শেষ হবার পুর্বেই মহাসড়কে গর্ত ও ফাটল
কাজ শেষ হবার পুর্বেই মহাসড়কে গর্ত ও ফাটল
বরগুনা প্রতিনিধি :: (৩১ বৈশাখ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৩৪মি.) বরগুনা-চান্দখালী-বাকেরগঞ্জ-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়ক বরগুনা থেকে গলাচিপা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কের সম্প্রসারন ও সংস্কার কাজ শেষ হতে না হতেই অনেক অংশের পিচের ঢালাই উঠে গর্ত হয়েছে। অন্যদিকে এ সড়কের কিছু কিছু অংশে মাঝ বরাবর ফাটল দেখা দিয়েছে।
বরগুনা থেকে বেতাগী উপজেলার চান্দখালী, বাকেরগঞ্জ পর্যন্ত ৫৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২২ কোটি ৯৩ লাখ ৭০ হাজার ২৯৭ টাকা ব্যয়ে ১৩ কিলোমিটার অংশের কাজ চলছে। শুরু থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান’র বিরুদ্ধে নির্মানের পাথর ব্যবহারসহ অনিয়মের অভিযোগ ছিল।
সরেজমিন দেখা যায়, এই সড়কের গিলাতলী পাকারমোড় নামক স্থানে সড়কের বেশ বড় অংশজুড়ে পিচের ঢালাই উঠে গেছে। খানবাড়ি সেতুর দক্ষিন পাড়ে মাঝ বরাবর বড়-ধরনের ফাটলের সৃস্টি হয়েছে। সোনার বাংলা মোড় থেকে গৌরিচন্না টেকনিক্যাল কলেজ পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কে সুক্ষ ফাটল ধরেছে।
পিচ উঠে যাওয়া সড়কের অংশসমূহে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা পিচ দিয়ে মেরামত করে তার ওপর রোলার দিচ্ছেন। এসময়, কার্য সহকারী মো. রুবেলকে সড়কের এই অবস্থা সর্ম্পকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, কাজ ঠিকভাবেই হয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে তিনি রাজী নন।
ঢাকার রিলায়াবল বিল্ডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজ করেছ। গত বছরের ১৮ মে এই কাজের অনুকূলে বরগুনা সড়ক ও জনপথ (সওজ) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। নির্মাণাধীন সড়কের পিচ উঠে যাওয়ার প্রসঙ্গে সওজের একটি সূত্র জানায়, এই সড়কের উপারের অংশে ৪০ কিলোমিটার (পৌনে দুই ইঞ্চি) বিটুমিনাস ওয়ারিংকোর্স (পিচ ও তিন ধরনের পাথর দিয়ে ঢালাই) করার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ৩০ কিলোমিটার।
আবার তিন ধরনের পাথর (আধা ইঞ্চি, তিন-চতুর্থাংশ,এক-চতুর্থাংশ ইঞ্চি) ব্যবহারের কথা থাকলেও তার অনুপাত ঠিকরাখা হয়নি। এছাড়া ঢালাইয়ের আগে প্রাইম কোড ( বিটুমিনের প্রলেপ) ভালোভাবে দেওয়া হয়নি। ফলে সড়কের এই অবস্থা হচ্ছে। এ অবস্থায় এখন কোনরকম মেরামত করে দিলেও আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পুরো সড়কের পিচের ঢাইলাই ওঠে যাবে বলে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই সড়কটি বেহাল ছিল। কিছুদিন আগে যে অংশের কাজ শেষ হয়েছে সেখানথেকে পিচ উঠে গেছে।
এখন যে ভাবে সংস্কার করা হয়েছে তাতে ক‘দিন ঠিক থাকে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের রিলায়াবল বিল্ডার্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সাজ্জাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এখনো কাজ চলমান রয়েছে। সড়কের কিছু জায়গায় সামান্য সমস্যা হতেই পারে। আমরা তা ঠিক করে দেব। তবে কাজে কোন অনিয়ম হয়নি। আমরা শর্ত অনুয়ায়ী কাজ করেছি।