মঙ্গলবার ● ১৫ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » যাকাত ট্রাজেডি : প্রতিকার কি হবে ?
যাকাত ট্রাজেডি : প্রতিকার কি হবে ?
মুতাসিম বিল্লাহ :: যাকাত’ কি ? এই বিষয়টা মানুষের পুরোপুরি বুঝ না থাকার কারণেই নিত্য ঘটছে দুর্ঘটনা । সাধারনত আমাদের সমাজের বিত্তবান মানুষগণ মনে করে পুরো বছরের মধ্যে “রোজাতে” কিছু কাপড় কিনে গরিবদেরকে দিয়ে দেবে; এতে তার যাকাত আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু ‘যাকাত দেয়া যে, রোজা আসলেই ফরজ এরকম কোথাও আছে বলে আমার মনে হয় না, বরং যখনি আপনার নেসাব পরিমাণ (যতটুকুর উপর যাকাত ফরয) সম্পদ একবছর পূর্ণ হবে তখনই যাকাত ফরজ হবে, আর ফরজ কাজে দেরি করাটা সমীচীন নয়। আর যাকাত দেয়া প্রয়োজন এমন মানুষকে যে যাকাতের হকদার, যে বস্তু দ্বারা তার অভাব দূর হবে সেই বস্তু দিয়েই যাকাত আদায় করা উত্তম। দরুন, তার প্রয়োজন টাকার, অথবা তার প্রয়োজন খাদ্যের, আর আপনি দিলেন তাকে জামা; এ থেকে তার প্রয়োজনটা পরিপূর্ণ হলো না। যে বস্তুর সে (দরিদ্ররা) মুখাপেক্ষি সেই বস্তু দ্বারাই যাকাত আদায় করা উত্তম।
আর এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো ‘টাকা’ দিয়ে দেওয়া। কেননা, টাকা দ্বারা মানুষ সব অপূরণই পূর্ণ করতে পারে। মূলত, যারা লাইনবেধে কাপড় ইত্যাদি দান করে থাকে তাদের বেশিরভাগ মানুষকে দেখানোর অথবা নিজেদের ভবিষ্যৎ কোন লক্ষ নিয়েই তারা এরকম করে, তবে হ্যাঁ…সবাই যে একরকম তা বলবো না; ভালো মানুষও আছে যারা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য যাকাত দেয়া,যাকাত এমন ভবে দেয়া উচিত যাতে, আপনি এবং যাকে যাকাত দিচ্ছেন সে ছাড়া আর কেহ এ বিষয়ে জানবে না। এতে যাকাত গ্রহণকারী লোকটিও মানুষদের (সমাজের) কাছে লজ্জিত হবে না। আর রাসুলের আদার্শ সুন্নাত বিধান ‘যখন তোমরা দান করো; গোপনে দান করো’ এর হকও আদায় হলো।
তা না করে আমরা আমাদের বর্তমান ফ্যাশন করে ফেলেছি যে, এক টাকা দান করলেও তা মানুষকে জানিয়ে দান করি।
অথচ এটা অনুচিত। যাকাত দেয়ার ক্ষেত্রে এমন ব্যক্তিকে বাচাই করা প্রয়োজন যাতে আপনার যাকাত দ্বারা সে স্বাবলম্বী হবে, এ ক্ষেত্রে দশজন মানুষকে না দিয়ে একজন মানুষের অভাব দূর করতে পারলেই আপনার ‘যাকাত সফল ও উত্তম হবে। সবাই যখন এরকমভাবে যাকাত আদায় করবে তখন দেখবেন আস্তে আস্তে বেশিরভাগ দারিদ্ররাও স্বাবলম্বী হয়ে যাবে দেশও এগিয়ে যাবে যাকাত-দাতাদের কল্যাণে। যাকাতের বিধান দেয়া হয়েছেও এ জন্য যাতে, অভাবীর অভাব দূর হয়। বস্তুত, আমাদের যাকাত দ্বারা অভাবির অভাব দূর হওয়া তো দূরে থাক একজনও সম্পূর্ণ পরিতৃপ্তিতে তার দিনাতিপাত করতে পারে না। অাল্লাহপাঁক অামাদের উত্তম যাকাত পন্থা বুজবার তাওফিক দান করুন (অামিন)।
এখন মূল বিষয়বস্তুতে আসি আমরা প্রতিবছর দেখে আসছি যে, রমজানের সময় যাকাত দেয়ার সময় নানা ধরনের দুর্ঘটনার ঘটে। হুড়োহুড়ি করে যাকাতের কাপড় ও টাকা নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে। পুর্বের রিপোর্টে যদি লক্ষ করি তাহলে আমরা দেখতে পাই যে, স্বাধীনতা পরবর্তীতে এদেশে এ ধরনের দুর্ঘটনায় শতাধিক হতদরিদ্রের মৃত্যু হয়েছে।
এদের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে বৃদ্ধা, নারী ও শিশু। দুর্ঘটনার পর নিহত ব্যক্তির পরিবারকে স্থানীয় প্রশাসন থেকে সামান্য কিছু আর্থিক ক্ষতিপূরণও দেয়া হয়। এসব ঘটনায় স্থানীয়ভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও একটির ঘটনায়ও কমিটির রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। তদন্ত কমিটি ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে বেশ কিছু সুপারিশ দিলেও তা কোন সময়ই বাস্তবায়ন বা অনুসরণ করা হয়নি।১৯৮২ সালে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল “যাকাত বোর্ড”। এই বোর্ড যাকাত সংগ্রহে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। নাই কোনো দিক নির্দেশনা; যার কারণে বারবার ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা। অন্যদিকে যাকাতের নামে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণে যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতা নিতে যাকাত প্রদানকারীদের প্রতি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয় থেকে বারবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে,” যাকাতের শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণের সময় প্রায়শই দুর্ঘটনায় অনেক লোক হতাহতের ঘটনা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিষয়টিকে দুঃখজনক উল্লেখ করে এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা পরিহারে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতা নিতে বিত্তবানদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনকেও এ ধরনের বিতরণ কাজে সহযোগিতা করার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু কে শুনে কার কথা(?)। অথচ প্রতি বছরই কোন নিয়মনীতি না মেনেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর ধরে যাকাত প্রদান করে আসছেন। কিন্তু এ যাকাত আনতে গিয়ে প্রতিবারই ঘটছে দুর্ঘটনা, প্রাণ যাচ্ছে গরীব মানুষের। যাকাত আনতে গিয়ে পায়ের নিচে পড়ে ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা। বর্তমানে যাকাতের নামে কাপড় নেয়া রীতিমত একটা মরণফাঁদে পরিণত হয়ে গেছে। কাপড় নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়, কার আগে কে নেবে। যার জন্য ঘটে নানা রকম দুর্ঘটনা, সামান্য একটা কাপড়ের জন্য ঝরে যায় সংসারে একমাত্র অভিবাবকের মূল্যবান প্রাণও।
তথ্য সুত্র মতে, দেখা যায়, যাকাতের নামে বিতরণকৃত কাপড় নিতে গিয়ে গত ৩৫ বছরে মার যায় ২৫৪ জন।
১৯৮০ সালের পবিত্র রমযান মাসে যাকাতের নামে বিতরণকৃত কাপড় সংগ্রহ করতে গিয়ে ঢাকার জুরাইনে শিশুসহ পদপৃষ্ট ও ভিড়ের চাপে নিহত হয় ১৩ জন। ১৯৮৩ সালের ৯ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যাকাতের টাকা নিতে গিয়ে ভিড়ের চাপে পড়ে ৩ শিশু মারা যায়। আহত হয় আরো অনেকে। ১৯৮৭ সালের ২৩ মে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে যাকাত দেয়ার সময় ব্যাপক লোক সমাগম হয়। একপর্যায়ে লোকজন উচ্ছৃঙ্খল হয়ে পড়লে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় মধ্যে পড়ে ৪ জন মারা যায়। এ ঘটনায় আহত হয় বহু লোক।
১৯৮৯ সালের ৫ মে চাঁদপুরে যাকাতের নামে বিতরণকৃত কাপড় নিতে গিয়ে পদপৃষ্ট মারা যায় ১৪ জন। এসময় অাহত হয় অর্ধশতাধিক মানুষ। ১৯৯০ সালের ২৬ এপ্রিল চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর আবুল বিড়ি ফ্যাক্টরিতে যাকাত নিতে গিয়ে পদদালিত হয়ে নিহত হয় ৩৫ জন। আহত হয় প্রায় দুই শতাধিক মানুষ। সেই ১৯৯০ নিহত„আহতের দাঁগ শুকাতে না শুকাতেই। ১৯৯১ সালের ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের একটি বিড়ি ফ্যাক্টরিতে যাকাত নিতে গিয়ে হুড়াহুড়িতে মারা যান ৩২ জন। ঢাকার নবাবপুর রোডে যাকাতের নামে বিতরণকৃত কাপড় সংগ্রহ করতে গিয়ে ঘটনাস্থলেই একজন পুরুষ ও একজন নারী নিহত হন এবং আহত হন কমপক্ষে ২৫ জন। ২০০২ সালের ডিসেম্বরে দেশের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডির ঘটনা ঘটেছিল গাইবান্ধায়। এতে অন্তত ৪২ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছিলো। ২০০৩ সালে ঈদুল ফিতরের আগে রাজধানীর শাহজাহানপুরে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের বাসা থেকে যাকাত আনতে গিয়ে ভিড়ের চাপে নারী ও শিশুসহ ৯ জনের মৃত্যু ঘটে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকায় এবিষয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনা সামাল দেয়। ক্ষমতার প্রবলে তখন কোনও মামলাও হয়নি স্থানীয় থানায়।
২০০৫ সালে গাইবান্ধায় যাকাতের নামে বিতরণকৃত কাপড় নিতে গিয়ে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছিল। গাইবান্ধা জেলা শহরে নাহিদ ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দু:স্থদের মধ্যে যাকাতের নামে বিতরণকৃত শাড়ি বিতরণের ঘোষণা দেয়া হয়। নির্ধারিত দিনে ভোরে ওই প্রতিষ্ঠানে গেটের সামনে জড়ো হয় কয়েক হাজার অসহায় নারী। গেট খোলার সময় হুড়োহুড়ি আর ধাক্কাধাক্কিতে নিহত হয় ৩৭ জন। ২০০৬ সালে পটুয়াখালীতে যাকাত আনতে গিয়ে প্রাণ হারান ৩ জন। অপরদিকে, মুক্তাগাছা উপজেলায় বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিকের বাসায় যাকাত নিতে গিয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে যাকাত আনতে গিয়ে নিহত হয়েছিলো একজন। ২০১১ সালে পবিত্র রমযানে রাজধানীর ধানমন্ডির ২ নম্বর সড়কের আকিজ গ্রুপের কার্যালয় থেকে যাকাত আনতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি ও পদদলিত হয়ে নারী ও শিশুসহ ৭ জন মারা যায়। এঘটনা সামাল দিতে পুলিশ তাৎক্ষণিক আকিজ গ্রুপের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলেও পরবর্তীতে এর কার্যক্রম আলোর মূখ দেখেনি।
২০১২ সালের আগস্ট মাসে রাজধানীর মতিঝিলের ফকিরাপুলে যাকাতের নামে বিতরণকৃত কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে তিন নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
২০১৪ সালের ২৫ জুলাই বরিশাল নগরীর কাঠপট্টি রোডে খান অ্যান্ড সন্স গ্রুপের মালিকের বাসভবনে যাকাতের নামে বিতরণকৃত কাপড় নেয়ার সময় পদদলিত হয়ে ২০ জন আহত হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর দু’জনের মৃত্যু হয়। ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই মানিকগঞ্জে গার্লস স্কুল রোডে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ হাসান রুনুর বাসায় যাকাতের নামে বিতরণকৃত কাপড় নেয়ার সময় ভিড়ের কারণে ও প্রচন্ড- গরমে ১৩ নারী অসুস্থ হয়। মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়। ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই ময়মনসিংহ জেলা শহরের অতুল চক্রবর্তী রোডের নূরানি জর্দা ফ্যাক্টরি থেকে যাকাতের নামে বিতরণকৃত কাপড় সংগ্রহ করতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় আরো অন্তত ২০ জন। এ ঘটনায় ফ্যাক্টরি মালিক ও তার ছেলেসহ আটজনকে আটকও করে পুলিশ ও সূর্যের হাসি হাসেনি।
সর্বশেষ, গতকাল ১৪ মে (সোমবার) ২০১৮ চট্টগ্রাম’র সাতকানিয়া উপজেলার বিশিষ্ট শিল্পপতি, কেএসআরএমের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ শাহজাহানের পক্ষ থেকে দেওয়া ইফতার সামগ্রী সংগ্রহ করার সময় পদদলিত হয়ে ১১ নারী ও শিশু নিহত ও আহত অন্তত ২৫-৩০ জন।
যাকাত নিতে গিয়ে বারবার এ ট্র্যাজেডি তবুও নেই প্রতিকার; নেই সাবধানতা। আমাদের সামন্য ভুলেই প্রতিবছর ঝরে হাজারো প্রাণ তাই যাকাত দাতাদের উচিত আগে ভালো করে ভেবে নেওয়া কোথায় কিভাবে কতজনকে সে যাকাত দিতে পারবেন। সেটা না ভেবে ঢালাওভাবে যাকাতের ঘোষনা দিবেন না। হয়তো আপনার কিছুই হবে না কিন্তু মনে রাখবেন “একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না” আর যাকাত দেবার বিধান অনুযায়ী সুষ্ঠূভাবে যাকাত দিন লোক দেখানোর জন্য না দেয়াই সমাচীন হবে। তবে হ্যাঁ ঢালাওভাবে যদি দিতেই যান তবে প্রশাসনের সহোগিতা নিন। কেননা ঢালাওভাবে ঘোষনা করার মানে হলো যতজন আসবে সবাইকেই অাপনি দিতে পারবেন। অনথ্যায় প্রশ্ন আসে যদি তা সে না পারে, তাহলে সেই ঘোষনা দিবে কেন? তাহলে আপনার যাকাত আদায় আমার মতে প্রশ্নবিদ্ধ।
এইবার আসি যারা যাকাত নিতে আসবেন তাদের কথায়(!)।
আপনি কি কখনো ত্রান দিতে গিয়েছেন? আমার লাইফের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি…অভাবী মানুষদের কন্ট্রোল করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে অন্যতম একটি কাজ। যখন কিছু দেওয়ার সময় এরা সবার আগে গিয়ে নিতে চায়। লাইন টাইন তো দুরের কথা এসব তখন এদের হুশ থাকে না..( কে কার আগে যাবে এটাই হলো প্রতিযোগিতা) শক্তিশালী দুর্বলকে ঢেলে-ধাক্কায়ে আগে চলে যাবেই। কিছু আবার আছে ধাপে ধাপে নিজের পুরো পরিবারকে দাড় করায়। ফলে একই পরিবারে হয়তো তিন-চারটা ত্রাণ/যাকাতের কাপড় যাবে কিন্তু কোন পরিবার কিছুই পাবে না। এটা একেবারে কমন চিত্র। শেষে দিয়ে আপনি দেখবেন যে যারা পাওয়ার যোগ্য প্রকৃতই যার কিছু নেই। তারা আসলে কিছুই পায়নি। সেইখান থেকেই ক্ষোভ শুরু হয়।
এরপরেই নিজেদের মধ্যে, যারা দিচ্ছে তাদের মধ্যে কাটাকাটি,মারামারি। আমি জানি না গরীবের এই স্বভাবকে আমি কিভাবে বর্ণনা করবো। আমি জীবনে অনেক কিছুই পেয়েছি তাই আমার পক্ষে হয়তো না পাওয়ার বেদনা বুঝা পুরোপুরি সম্ভব না। তবুও পরিশেষে বলি সবাই একটু সাবধানতা অবলম্বন করুন।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে সহিহভাবে যাকাত আদায় করার ও গ্রাহণ করার তাওফিক দান করুক।
লেখক : নির্বাহী পরিচালক মুনহা ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ।