মঙ্গলবার ● ১৫ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজান বাগোয়ান ইউনিয়নে উপ নির্বাচনে শান্তিপুর্ণ ভোট গ্রহণ : চম্পক মিত্র জয়ী
রাউজান বাগোয়ান ইউনিয়নে উপ নির্বাচনে শান্তিপুর্ণ ভোট গ্রহণ : চম্পক মিত্র জয়ী
রাউজান প্রতিনিধি :: (১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.২৫মি.) রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে উপ নির্বাচনের মেম্বার পদের শূন্য আসনে ভোট গ্রহণ চলছে। পূর্বনির্ধারিত সময় সূচি অনুসারে অাজ ১৫ মে মঙ্গলবার কোয়েপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে সকাল ৮টা ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। ভোট দিতে এসেছিলেন বয়স্ক মহিলা ও পুরুষ ভোটাররাও। এই নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে ট্রলিতে চলে এসেছিলেন মিনু শীল নামের ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা। তিনি পায়ের সমস্যার জন্য হাটতে পাচ্ছিলেন না। তার মতো অনেকেই রিকশায় চড়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে গেছেন অনেক বয়ষ্ক ভোটার। সবমিলিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে নবীন-প্রবীনরা ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই আওয়ামীলীগ প্রার্থী। তাদের মধ্যে একজন বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চম্পক মিত্র (টিউবওয়েল)। অন্যজন উপজেলা যুবলীগের নির্বাহী সদস্য রাজেশ ভট্টাচার্য্য (ফুটবল)। কথা বলে জানা যায়, দুই প্রার্থীই নির্বাচনে জয় লাভের ব্যাপারে আশাবাদী। দেখা গেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কেন্দ্রে তৎপর রয়েছেন।
সূত্র মতে, বাগোয়ান ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে ৬০১ মহিলা ভোটারসহ ১০১৪ জন ভোটার রয়েছে। কথা বললে প্রার্থী চম্পক মিত্র (টিউবওয়েল) বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোট গ্রহণ চলে। জনগণের প্রতি আমার আস্তা আছে, আমি নির্বাচিত হব। অপর প্রার্থীর রাজেশ ভট্টাচার্য্য বলেন, আমার কোন অভিযোগ নেই, নির্বাচন সুষ্টু হচ্ছে। ফলাফল যাই হোক মেনে নেব। প্রিজাইডিং অফিসার শাহ-ই-জাহান বলেন, বেলা ১১টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত ৪৭১ ভোট কাস্টিং হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন চলছে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যা ৭টায় ফলাফল ঘোষণা করা হলে চম্পক মিত্র ৬৬৩ ভোটে বিজয়ী হন। নির্বাচনের দায়িত্বেএকজন প্রিজাইডিং অফিসার, ৩জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, ৬ জন পোলিং অফিসার। ভোট কেন্দ্রে আনসার ও পুলিশ কঠোর অবস্থানে ছিলেন।