বৃহস্পতিবার ● ১৭ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » দিনাজপুর » আন্দোলনরত শ্রমিকদের কাজে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক
আন্দোলনরত শ্রমিকদের কাজে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক
পার্বতীপুর প্রতিনিধি :: (৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৪২মি.) পার্বতীপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন বন্ধ করে কাজে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহাম্মদ।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির অফিসার্স ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের মনমেলা হল রুমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হাবিব উদ্দিন আহম্মদ এ কথা বলেন। লিখিত বক্তেব্যে আরও বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উৎপাদনসহ অন্যান্য সবরকম কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এখানকার শ্রমিকরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ করছে।
তাই তাদের দাবীসমুহ পুরণ করা বা না করা বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কতৃপক্ষের কাজ নয়, এটা সম্পূর্ণ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করছে। শ্রমিকরা কতৃপক্ষের ভাই বলে দাবী করে তিনি বলেন, কাজে যোগদান করুন এবং এরপর আলোচনার টেবিলে বসলে সমস্যার সমাধান বের হয়ে আসবে। তিনি আক্ষেপ করে জোর দিয়ে বলেন, মাত্র ১০ থেকে ২০ ভাগ শ্রমিক আন্দোলন করছে, বাকী সব শ্রমিকই কাজে যোগদান করতে ইচ্ছুক রয়েছে। কিন্তু আন্দোলনকারীদের ভয়ে তারা মুখ খুলছে না এবং কাজে যোগদান করতে পারছে না।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়া, ইংলন্ড, চীনসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩ শতাধিক বিদেশী নাগরিক খনির এবং ৪ শতাধিক দেশী নাগরিক প্রায় ১ সপ্তাহ যাবত অবরুদ্ধ অবস্থায় ভীতিকর পরিস্থিতিতে খনির বাউন্ডারীর মধ্যে জীবনযাপন করছেন। তাদের খাদ্য, ওষুধ, বাচ্চাদের খাবার শেষ হয়ে গেলেও তারা সেসব সংগ্রহ করতে পারছেন না বলে এমডি দাবী করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জিএম এবিএম কামরুজ্জামান, জিএম আবুল কাশেম প্রধানিয়া, জিএম এটিএম নুরুজ্জামান চৌধূরী, জিএম সাইফুল ইসলাম মহা-ব্যাবস্থাপক (সি এন্ড ই) এটিএম কামরুজ্জামান, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডি জি এম) আনিছুজ্জামান, (ডি জি এম) গোপাল চন্দ্র সাহা (ডি জি এম) জোবায়ের আলী ,ব্যাবস্থাপনা জেনারেল মাসুদ হাওলাদারসহ কয়লা খনির বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।
উল্লেখ্য যে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ১৩ দফা দাবী ও খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটির ৬ দফা দাবিতে ১৩ মে রবিবার থেকে শ্রমিকেরা কর্মবিরতিসহ এলাকাবাসীর সাথে বিভিন্ন প্রকার কর্মসূচি পালন করে আসছে।