বুধবার ● ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » ২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়া হচ্ছে
২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়া হচ্ছে
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২৫ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন মূল্যমানের নতুন নোট বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে নতুন নোট বিতরণের কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি কোরবানির পশুর হাটে জাল নোটের ব্যবহার প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ৪৫০টি জাল নোট শনাক্তকারী যন্ত্র সরবরাহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নাজনীন সুলতানা বলেন, জাল নোট শনাক্ত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে দেওয়া যন্ত্রের মধ্যে ১৭০টি ব্যবহৃত হবে ঢাকা অঞ্চলে। বাকি ২৮০টি যন্ত্র ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় ব্যবহার করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৭টি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০টি এবং সিটি করপোরেশনের বাইরে ৩টিসহ ঢাকার মোট ২০টি অনুমোদিত পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ স্থাপনের জন্য ৩৯টি ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাট শুরুর দিন থেকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত এসব হাটে ব্যাংকের কার্যক্রম চলবে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা রয়েছে সেখানকার পশুর হাটে বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকের দায়িত্ব পালন করবে। এর বাইরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে দায়িত্ব পালন করবে সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো।
নাজনীন সুলতানা বলেন, পশুর হাটে ব্যাংক নোট জালকারী চক্রের অপতৎপরতা রোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কার্যক্রম জোরদার করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, প্রতিটি জাল নোট শনাক্তকারী যন্ত্রের দাম ২ হাজার টাকারও কম। তাই বিপণিবিতানগুলোতে দোকান মালিকেরা নিজ উদ্যোগেই এ ধরনের যন্ত্র রাখতে পারেন।
২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট: গ্রাহক চাহিদার ভিত্তিতে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২ থেকে ২০ টাকা মূল্যমানের ২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। সারা দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব কার্যালয় ছাড়াও বেসরকারি ২০টি ব্যাংকের মাধ্যমে এসব নোট গ্রাহকদের মাঝে সরবরাহ করা হবে। একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ একবার এবং ৩ হাজার ৭০০ টাকার সমমূল্যের নতুন নোট গ্রহণ করতে পারবেন। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এসব নতুন নোট বাজারে ছাড়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, গত ঈদুল ফিতরে গ্রাহক চাহিদার বিপরীতে বিভিন্ন মূল্যমানের ১৮ থেকে ১৯ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়া হয়। যদিও সে সময় ২২ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। আর গত বছর ঈদুল আজহায় ১৬ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়া হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে শুভঙ্কর সাহা বলেন, নতুন নোট সরবরাহের জন্য ঢাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চারটি বুথ খোলা হবে। আগ্রহী গ্রাহকদের টোকেন দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে গ্রাহকদের আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। যাতে করে কোনো গ্রাহক অসৎ উদ্দেশ্যে একবারের বেশি নতুন নোট সংগ্রহের সুযোগ না পান। নতুন নোট নিয়ে ব্যবসা বন্ধে পরীক্ষামূলকভাবে এবারই প্রথম এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।