রবিবার ● ২৭ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » গাজিপুর » গাজীপুরে বকেয়া পরিশোধের দাবীতে পোশাক শ্রমিকদের অনশন : অসুস্থ-৪
গাজীপুরে বকেয়া পরিশোধের দাবীতে পোশাক শ্রমিকদের অনশন : অসুস্থ-৪
গাজিপুর জেলা প্রতিনিধি :: (১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৫৫মি.) গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতন ভাতাসহ শ্রম আইন অনুযায়ী সকল পাওনাদি পরিশোধের দাবীতে গত ৫দিন ধরে কারখানা গেইটে অনশন ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে। এসময় তারা বিক্ষোভ করছে। আন্দোলনরত চার শ্রমিক ২৬ মে শনিবার অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ এলাকাস্থিত আয়মন টেক্সটাইল এন্ড হোসিয়ারী লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ভাতা ১০ মে’র মধ্যে পরিশোধের কথা থাকলেও তা পরিশোধ করা হয়নি। এদিকে কারখানাকে রুগ্ন হিসেবে চিহ্নিত করে ২০মে এ কারখানাটিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য (লে-অফ) বন্ধ ঘোষণা করে গেইটে নোটিশ টানিয়ে দেয় কর্তপক্ষ। এ খবর জানতে পেরে শ্রমিকদের মাঝে হতাশা ও অসন্তোষ দেখা দেয়। শ্রমিকরা তাদের পাওনাদি পরিশোধের দাবীতে প্রায় প্রতিদিনই কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করতে থাকে। শ্রমিক অসন্তোষ ও তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধের তারিখ কয়েক দফা নির্ধারণ করলেও তাদের পাওনাদি পরিশোধ করেনি। সর্বশেষ গত ২১ মে শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের তারিখ নির্ধারণ করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নির্ধারিত এদিন কর্তৃপক্ষ কারখানার নিটিং ও ডাইং সেকশনের শ্রমিকদের আংশিক বেতন ভাতা পরিশোধ করে। তবে গার্মেন্টস সেকশনের শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করেনি। বেতন ভাতা না পেয়ে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতন ভাতাসহ শ্রম আইন অনুযায়ী সকল পাওনাদি পরিশোধের দাবীতে গত ২২ মে হতে প্রতিদিন কারখানা গেইটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। আন্দোলনরতরা গত ৫দিন ধরে অনশন ও অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছে। শনিবার অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আন্দোলনরত চার শ্রমিক অসুস্থ্য পড়ে। এসময় তাদের সহকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রেরণ করে। শনিবার বিকেল পর্যন্ত আন্দোলনরতরা কারখানা এলাকায় অবস্থান করছিল।
শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর সেলিম রেজা জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। শ্রমিকদের দাবী দাওয়া নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিজিএমইএ ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা আলোচনা করছে। শীঘ্রই উদ্ভুত পরিস্থিতির সমাধান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।