বুধবার ● ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » গাজিপুর » যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দিলেই চলবে না - ডিআইজি
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দিলেই চলবে না - ডিআইজি
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নুরুজ্জামান বলেছেন, ‘৭১ এ যারা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের সহায়তা ও আমাদের মা বোনদের ধর্ষণ ও ইজ্জতহানি করেছে, ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে এদেশকে ছাড়খার করেছে, যারা এদেশের ২০ লক্ষাধিক সাধারণ মানুষসহ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, যারা এদেশ ও দেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করেনা- আমি মনে করি সেসব যুদ্ধাপরাধীদের শুধুমাত্র ফাঁসি দিলেই চলবে না৷ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকরের পর তাদের সন্তান ও আত্মীয় স্বজনদের আস্ফালন দেখে মনে হয় সাপের বাচ্চা সাপই হয়৷ তারা কখনোই এদেশ ও এদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মেনে নেয়নি৷ তাই যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকরের পর তাদের লাশগুলো কবরে না দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আগামী প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের কাছে তাদের অপরাধের ইতিহাস তুলে ধরে সংরক্ষণ করতে হবে৷ মানুষ যখন সেখানে তাদের দেখতে যাবে, তখন তাদের অপরাধের ইতিহাস জেনে থুতু মারবে৷ তাদেরকে রাষ্ট্রীয় শত্রম্ন হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে৷ পোল্যান্ডের মতো রাষ্ট্রীয় শত্রম্নদের সন্তান ও আত্মীয় স্বজনদের চাকুরী ও ভোটাধিকারসহ সকল অধিকার ও সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতে হবে৷
তিনি আরো বলেন, আজ লজ্জা লাগে যে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা বারবার করা হচ্ছে৷ অথচ যারা আমাদের মা বোনদের ধর্ষণ ও ইজ্জতহানি করেছে, ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়েছে ও লুটতরাজ করেছে, এদেশের সাধারণ মানুষসহ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, এদেশ ও দেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করেন তাদের তালিকা এখনো তৈরী হয়নি৷ আমি প্রধান মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো- মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের তালিকা তৈরী ও জনসম্মুখে প্রকাশের জন্য৷ তাদের সন্তান ও আত্মীয় স্বজনরা কে কোথায় কি করছে সে সব তথ্য ও ইতিহাস সংগ্রহ করার জন্য৷
তিনি ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য কালে এসব কথা বলেন৷ গাজীপুরের পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়৷ গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় এডভোকেট রহমত আলী এমপি, জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, সাবেক ডিআইজি তোফাজ্জল হোসেন, সাবেক পুলিশ সুপার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন বীর বিক্রম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী মোজাম্মেল হক, গাজীপুর সিটি করপোশেনের (জিসিসি) ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন, এডভোকেট হারিছ উদ্দিন বিশিষ্ট লেখক সেলিম ওমরাও খাঁন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া, পুলিশ লাইন্সের আরআই মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী মিয়া, এসআই দেলোয়ার হোসেনসহ মুক্তিযোদ্ধা ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷
অনুষ্ঠানে এক’শ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়৷ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে আতশ বাজি ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়