সোমবার ● ২৮ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » সাজেকে প্রতিপক্ষের ব্রাশ ফায়ারে ৩ ইউপিডিএফ কর্মী নিহত : আহত-১ : ইউপিডিএফ এর নিন্দা
সাজেকে প্রতিপক্ষের ব্রাশ ফায়ারে ৩ ইউপিডিএফ কর্মী নিহত : আহত-১ : ইউপিডিএফ এর নিন্দা
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: (১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৪৬মি.) রাঙামাটি জেলার সাজেকে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ এর তিন কর্মী নিহত হয়েছে ও একজন আহত হয়েছে। আজ সোমবার ভোর ৭টায় সাজেক থানার গঙ্গারাম এর করল্যাছড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের নাম হচ্ছে : সুগোরচোগা চাকমা ওরফে স্মুতি, ঝগড়াবিলের অটল চাকমা ও সুনিল চাকমা। এ সময় কানন চাকমা নামে আরো একজন গুরুতর আহত হয়েছে।
ইউপিডিএফ প্রচার বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা বলেন, আমাদের একদল কর্মী করল্যাছড়িতে একটি বাড়ি এক সাথে অবস্থান করছিল। এই খবর শুনে রাত ২টার দিকে জেএসএস (সংস্কারপন্থী) ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর একদল সশস্ত্র ক্যাডার গ্রামটিতে অবস্থান নেয়। পরে ভোর ৫টার দিকে ইউপিডিএফ এর কর্মীদের উপর গুলি করে তিন জনকে হত্যা করে।
বাঘাইছড়ির সাজেক থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল আনোয়ারও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনা স্থল থেকে লাশ উদ্ধার করতে রওনা হয়। তবে এ ঘটনার সাথে নিজেদের জড়ির থাকার কথা অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের মুখপাত্র মিটন চাকমা।
অপর দিকে ইউপিডিএফ এর রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে আজ সোমবার সংস্কারবাদী জেএসএস-এর সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক ইউপিডিএফ ও গণতন্ত্রিক যুব ফোরামের ৩ সদস্যকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীর্ব নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, রবিবার (২৭ মে) রাতে একটি মাইক্রোবাসযোগে সংস্কারবাদী জেএসএস-এর ১০-১২ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল গঙ্গারাম করল্যাছড়ি এলাকায় যায়। আজ সোমবার (২৮ মে) সকাল ৭টার দিকে ওঁৎ পেতে থাকা ওই সন্ত্রাসী দলটি সেখানে একটি বাড়িতে অবসস্থানরত ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর অতর্কিতে ব্রাশ ফায়ার করে। এতে ঘটনাসস্থলেই স্মৃতি চাকমা (৫০), অতল চাকমা (৩০) ও সঞ্জীব চাকমা (৩০) নিহত হন। নিহতদের মধ্যে সঞ্জীব চাকমা গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সদস্য। বিবৃতিতে সংস্কারবাদী জেএসএস-এর একটি বিপথগামী অংশকে উদ্দেশ্য করে সচল চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাসের উপস্থিতি প্রমাণ করতে পরিকল্পিতভাবে সংস্কারবাদী পেলে-সুদর্শন-অংশুমান চক্রকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি পেলে-সুদর্শন-অংশুমান চক্রকে সংগ্রামী জনতার কাতারে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নেতা-কর্মী হত্যা করে ইউপিডিএফ-কে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, গঠনলগ্ন থেকেই ইউপিডিএফ’র উপর রাজনৈতিক দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। কিন্তু কোন অপশক্তিই ইউপিডএফ’র অগ্রযাত্রাকে রোধ করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ইউপিডিএফ তার লক্ষ্য বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই অবিলম্বে ইউপিডিএফ’র তিন সদস্যকে হত্যার সাথে জড়িত সংস্কারবাদী জেএসএস সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানিয়েছে।