মঙ্গলবার ● ৫ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » আত্রাই-খাজুরা পাকা রাস্তায় জলাবদ্ধতা : জনদুর্ভোগ চরমে
আত্রাই-খাজুরা পাকা রাস্তায় জলাবদ্ধতা : জনদুর্ভোগ চরমে
আত্রাই প্রতিনিধি :: (২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ বিকাল ৫.৪৪মি.) নওগাঁর আত্রাইয়ে পানি নিস্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই আত্রাই-খাজুরা পাকা রাস্তা হাঁটুপানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। ফলে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সেই সাথে শত শত যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে থাকে। এ বদ্ধ পানির ভেতর দিয়ে যানবাহন চলাতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
আত্রাই-খাজুরা পাকা রাস্তা একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে আত্রাইয়ের পূর্বাঞ্চলের কাঁন্দওলমা, বাঁকিওলমা, খোর্দ্দবোয়ালিয়া, বিপ্রবোয়ালিয়া, নবাবেরতাম্বু, জয়সাড়াসহ প্রায় ১৫টি গ্রামের হাজার হাজার জনগণ এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের জন্য তাদের এ একটি মাত্র রাস্তা ছাড়া বিকল্প আর কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। এ ছাড়াও নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা, মহিষডাঙ্গা ও গৌরীপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজনকেও এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়ে। বিএনপি জোট সরকারের আমলে এ রাস্তার অর্ধাংশ পাকা করণ করা হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাস্তা পুরোটাই পাকা করণের মধ্যদিয়ে এলাকাবাসীর যোগাযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে রাস্তাটি পাকা করণ করা হলেও পানি নিস্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই খনজোর নামক স্থানে রাস্তার উপর হাঁটু পানি জমে যায়। রাস্তায় পানি জমে থাকার ফলে একদিকে পাকা রাস্তা দ্রুত বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে পথচারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
খনজোর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আখতারুজ্জামান বলেন, আমি নিয়মিত আত্রাই থেকে এসে খনজোর মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পাড়াই। এখানে রাস্তার উপর পানি জমে থাকার ফলে যাতায়াতে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সময় মোটরসাইকেলসহ পড়ে গিয়ে সব ভিজে যায়। তখন দুর্ভোগের আর শেষ থাকে না।
জয়সাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। আমাদের কৃষিপণ্যও এ রাস্তা দিয়ে বাজারজাত করতে হয়। খনজোরে রাস্তায় পানি জমে থাকার কারনে পরিবহন খরচ অনেক বেশি দিতে হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোবারক হোসেন বলেন, এখানে পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হবে।