শিরোনাম:
●   রাঙামাটিতে দায়রা জজ আদালতের আওয়ামীলীগ পন্থি পিপি’র নিয়োগ বাতিল চায় বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ ●   পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকাগুলোতে পানির সংকট নিরসন ও সুরক্ষা বিষয়ে সরকার কাজ করছে : সুপ্রদীপ চাকমা ●   ঘোড়াঘাটে নদীর পানিতে ডুবে ইন্দোনেশিয়ান এক নাগরিকের মৃত্যু ●   সাবেক মন্ত্রী আমুকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ ●   এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের চেয়ারম্যানকে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সংবর্ধনা ●   মিরসরাইয়ে ৬ কেজি গাঁজাসহ ব্যবসায়ী গ্রেফতার ●   চুয়েটের আয়কর ও ই-রিটার্ন বিষয়ক কর্মশালায় অনুষ্ঠিত ●   গণহত্যার আসামীদের ক্ষমা করার কোন সুযোগ নেই ●   নিখোঁজের ৪ ঘন্টা পর পুকুরের পানিতে মিললো শিশুর মরদেহ ●   হাতের নাগালেই মিলছে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ●   নবীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার-২ ●   সংবিধান বাতিল বা পরিবর্তন করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয় ●   রাঙামাটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধনে পাহাড় থেকে সকল বৈষম্য নিরসন করার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বৈষম্য নিরসন কমিশন গঠনের দাবি ●   রাউজানে প্রবাসী যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   নবীগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু ●   আগামী কাল সোমবার সকালে রাঙামাটি বিসিক এর সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধন ●   কাউখালীতে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্টাতা বার্ষিকী পালন ●   পানছড়িতে ৫৩ তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপিত ●   ঘোড়াঘাটে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কর্মী সম্মেলন ●   বিজিবির অভিযানে অস্ত্র মাদকসহ চার জন আটক ●   তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিএনপির বিক্ষোভ ●   সামাজিক সংগঠন ‘ইগনাইট মিরসরাই’র আত্মপ্রকাশ ●   আত্রাইয়ে জাতীয় যুব দিবস পালন ●   অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সকল উসকানির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে ●   রাউজানে আগুনে ৫ দোকান ভস্মিভূত ●   ঘোড়াঘাটে দৈনিক সকালের বাণীর ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   রাঙামাটিতে জাতীয় যুব দিবস পালিত ●   ছেলেকে ফিরে পেতে এক মায়ের আকুতি ●   কাউখালীতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য অপহরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় যুব দিবস পালিত
রাঙামাটি, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বৃহস্পতিবার ● ৭ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » প্রকৃতির ‘লাঙল’ কেঁচো
প্রথম পাতা » কৃষি » প্রকৃতির ‘লাঙল’ কেঁচো
বৃহস্পতিবার ● ৭ জুন ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

প্রকৃতির ‘লাঙল’ কেঁচো

---বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: কৃষি ও কেঁচো। জড়িয়ে আছে নিবিড়ভাবে। কৃষিতে কেঁচোর অবদান অপরিসীম। প্রাকৃতিকভাবে কেঁচোই বাঁচিয়ে রেখেছে কৃষি। মাটির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধিতে অন্যতম সহায়ক। এ জন্য কেঁচোকে বলা হয় প্রকৃতির ‘লাঙল’ ও কৃষকের বন্ধু। কেঁচোর বৈজ্ঞানিক নাম : Metaphir posthuma. এনিলিডা বা অঙ্গুরীমাল পর্বের অতি পরিচিত, মাটিতে গর্ত খুঁড়ে বাস করা প্রাণী। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পৃথিবীজুড়ে ৪ হাজারেরও বেশি প্রজাতির কেঁচো রয়েছে। এর মধ্যে ৪৫০টির বেশি প্রজাতি শনাক্ত করে কৃষিকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন সর্বপ্রথম কেঁচোর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সকলকে জানান। উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কেঁচো সাধারণত ফসলি জমি, বতসভিটার আশপাশে ভেজা স্যাঁতসেঁতে জায়গায় বাস করে। এরা আলো ও তাপ সহ্য করতে পারে না। দিনে গর্তে বাস করে। রাতে খাদ্যের জন্য বের হয়। এদের চোখ, কান ও ফুসফুস নেই। ত্বকের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস চালায়। কেঁচো সাধারণত সাত-আট ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। খনন ও চলন ক্রিয়ার মাধ্যমে ৩ মিটার পর্যন্ত মাটি কর্ষণ করতে পারে কেঁচো। ফলে মাটিতে ছিদ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। মাটির গহ্বরে পানি প্রবেশে সাহায্য করে। মাটির তলায় স্থিতিশীলতা এবং বায়ু চলাচল বৃদ্ধি পায়। যা ফসল উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা রাখে। এ ছাড়াও কেঁচো সার (কেঁচো কম্পোস্ট) নতুন মাত্রা যোগ করেছে কৃষি ক্ষেত্রে। বর্তমানে কমে যাচ্ছে প্রকৃতির লাঙল হিসেবে পরিচিত কেঁচো। জমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগের ফলে দিনে দিনে কমে যাচ্ছে পরিবেশের অতি উপকারী এ প্রাণীটি। তাছাড়া এখন ‘এলফিস’ ধরতে একশ্রেণির শিকারিরা কৃষি জমি থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রচুর কেঁচো ধরে ব্যবহার করে থাকেন। কথা হয় বিশ্বনাথের বাউসী গ্রামের ধানি জমিতে কেঁচো ধরতে আসা বলাই (৭০) -এর সঙ্গে। তিনি নবীগঞ্জের কালিয়ার ভাঙ্গা ইউনিয়নের কড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানান, প্রতিদিন এলফিস ধরার ২০০ থেকে ২৫০টি বড় সাইজের কেঁচো প্রয়োজন হয়। একেক দিন একেক জমি থেকে কেঁচো ধরি। কেঁচো এলফিস ধরতে সাহায্য করে। এর বাইরে তার আর কোনো উপকারের কথা জানা নেই। পরিবেশবিদরা বলছেন, কেঁচো কমে যাওয়ায় এর বিরুপ প্রভাব আমাদের পরিবেশ ও অর্তনীতিতে পড়েছে। জমির উর্বরা শক্তি হ্রাস পেয়ে কমে যাচ্ছে ফসল উৎপাদন। এ বিষয়ে কথা হলে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের গবেষণা সহযোগী শিহাব খালেদীন সাংবাদিকদের’কে বলেন, কেঁচোর অপকারী কোনো দিক নেই বললেই চলে। প্রকৃতির ‘লাঙল’ কেঁচো ধানি জমির মাটি আলগা করে। অতি উপকারী এ প্রাণী এখন ব্যবহার করা হয় জৈব সার তৈরির কাজেও। এক সময় বৃষ্টি হলে জমিতে প্রচুর কেঁচো দেখা যেত। বর্তমানে অতিমাত্রায় কীটনাশক ও সার ব্যবহারের ফলে এরা হারিয়ে যাচ্ছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)