বৃহস্পতিবার ● ৭ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » পটুয়াখালীর দুমকির-লেবুখালী ফেরীঘাট উপকূলীয় চোরাচালানের নিরাপদ রুট
পটুয়াখালীর দুমকির-লেবুখালী ফেরীঘাট উপকূলীয় চোরাচালানের নিরাপদ রুট
পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: (২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ রাত ৮.৫৪মি.) পটুয়াখালীর দুমকিতে পুলিশী টহল বন্ধ থাকায় লেবুখালী ফেরীঘাট এলাকাটি এখন অবৈধ পণ্য পাচারের নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে। পুলিশি টহল না থাকায় অরক্ষিত লেবুখালী ফেরীঘাট এলাকা দিয়ে এখন প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে মাদক ও নিষিদ্ধ জাটকা, চিংড়ি রেণু পোনা।
একাধিক সুত্রে জানা যায়, বিভিন্ন অভিযোগে দুমকি থানার দু’জন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ক্লোজ হওয়ার জেরে ফেরীঘাটে পুলিশি টহল কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে বন্ধ রয়েছে। তাই পুরো ফেরীঘাট এলাকাটি এখন অরক্ষিত, তল্লাশী বিহীন থাকায় পাচারবকারী চক্র তাদের অবৈধ পণ্য নির্দিষ্ট গন্তব্যে নির্বিঘ্নে পাচার করছে। গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এর একটি টিম গত ২৪ মে সকালে লেবুখালী ফেরীঘাট এলাকা দিয়ে পাঁচারকালে ২টি ট্রাক ভর্তি ৪৫/৫০টি ড্রাম অবৈধ চিংড়ি রেণু আটক করে। গত বুধবার ভোর রাতেও ফের আরও একটি নিষিদ্ধ চিংড়ি রেণুর চালান আটক হওয়ায় পাচারের সুনির্দিষ্ট প্রমান মেলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক দোকান্দার অভিযোগে জানান, থানা পুলিশের টহল টিম অবৈধ পণ্য আটকের চেয়ে ট্রাক প্রতি চাঁদা উত্তোলনে বেশী ব্যস্ত থাকেন। এ ছাড়া পাঁচারকারীদের কাছ থেকে মাসোহারা আদায় নিয়মে পরিণত হয়েছে। এসব অভিযোগের কারনেই পুলিশ সুপার দুমকি থানার দু’জন এএসআইকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে থানা পুলিশ ফেরীঘাটের টহল বন্ধ করে দিয়েছেন বলেও একটি সূত্র দাবি করেছে। আর পুলিশি টহল বন্ধ থাকার খবরে অবৈধ পণ্য পাচারকারী চক্র ডরভয় ছাড়াই উৎসাহে এ রুট দিয়ে তাদের অবৈধ পণ্য পাচার করে যাচ্ছে। আর তাই পুলিশি টহল মুক্ত অরক্ষিত লেবুখালী ফেরীঘাটটি এখন নিরাপদ পাচারের রুট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
এ বিষয় দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ দিবাকর চন্দ্র দাস জানায়, কই নাতো লেবুখালী ফেরীঘাটে সব সময় আমাদের টহল থাকে, বাহিরের মানুষের কথায় কান দিয়েন না। কিন্তু সরেজমিনে (৬ জুন) বুধবার বিকেল পর্যন্ত লেবুখালী ফেরীঘাটে কোন পুলিশী টহল দেখা যায়নি।