শিরোনাম:
●   বেদে সম্প্রদায় ঝাড়ফুক দিয়েই চলে যাদের জীবন সংসার ●   প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলায় গণতন্ত্র মঞ্চের নিন্দা ●   নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ●   চুয়েটে একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫৫তম সভা ●   ঈশ্বরগঞ্জে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার হয়রানিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী ●   বর্ণিল আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম দিবস পালিত ●   জৈন্তাপুরে বিদেশি মদ সহ আটক-৩ ●   খেঁজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত কুষ্টিয়ার গাছিরা ●   সন্দ্বীপে বাল্যবিয়ে ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে উঠান বৈঠক ●   কাল দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বক্তব্য তুলে ধরবেন গণতন্ত্র মঞ্চ ●   সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রামে পাঠালো ডিবি ●   জাগ্রত প্রতিভার কার্যকরী পরিষদের দায়িত্ব হস্তান্তর ●   কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে তরুণ নেতৃত্ব বিকাশ বিষয়ক প্রশিক্ষণ সমাপ্ত ●   ঈশ্বরগঞ্জে ৪০ বছর পর শ্মশানের জায়গা বুঝিয়ে দিল প্রশাসন ●   নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ আত্মসাৎকারী নিউটন গ্রেফতার ●   কক্সবাজার টু সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচলের অনুমতি ●   চুয়েটে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট এন্ড ফাইনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক কর্মশালা ●   খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান ●   বাড়ির কাছেই মিলছে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ●   খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন ●   মাটিরাঙ্গায় ট্রাক্টর উল্টে চালক নিহত ●   অদম্য সেরাদের সেরা আইডল অন্বেষণ-২০২৪ শুরু ●   ঘোড়াঘাটে যৌথ বাহিনীর অভিযান অস্ত্রসহ যুবক আটক ●   রাঙমাটি জেলা পরিষদে থেকে আওয়ামীপন্থী সদস্যদের নিয়োগ বাতিল করার দাবীতে মানববন্ধন ●   ঈশান তালুকদার মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে গুরু আচারিয পূজা ও সংঘদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন ●   নবীগঞ্জে মোবাইল চুরির হিড়িক ●   বাংলাদেশ রেলওয়ে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিক কারখানায় জনবল সংকট ●   সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যু বার্ষিকীতে মানুষের ঢল ●   মিরসরাইয়ে শান্তিনীড় বৃত্তি পেলো ১১৫ জন শিক্ষার্থী ●   বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের সংযোগ বাড়াতে চাই : পার্বত্য উপদেষ্টা
রাঙামাটি, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ১৯ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বংশপরম্পরায় বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের নিপুণ কারিগর অনিলের গল্প
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বংশপরম্পরায় বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের নিপুণ কারিগর অনিলের গল্প
মঙ্গলবার ● ১৯ জুন ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বংশপরম্পরায় বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের নিপুণ কারিগর অনিলের গল্প

---নজরুল ইসলাম তোফা :: শতাব্দীর পর শতাব্দীতেই কিছু মানুষ বংশপরম্পরায় দেখা যায় যে আবহমান গ্রামবাংলায় লোকজ জ্ঞানে এবং সৃজনশীল মেধায় বাদ্য যন্ত্রের সমৃদ্ধিতে তাঁদের নিজস্ব অভিজ্ঞতাকেই যেন ব্যবহার করে আসছে। তাঁরা আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেন স্বহস্তে নানা বাদ্য যন্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত। বলা যায় যে, কোনো ভাবে পেটে ভাতে জীবন ধারণ করেই আসছেন। আসলেই তাঁদের নেই উন্নত প্রযুক্তি কিংবা আধুনিক প্রশিক্ষণ, তাছাড়াও তাঁদের পুঁজির অভাবেই এ শিল্পের বেহাল দশা দিনে দিনেই বৃৃৃৃদ্ধি পাচ্ছে, এখন এমন এ শিল্পের অনেকাংশে যেন ভাটা পড়তে বসেছে। তবুও কেউ না কেউ আনন্দের ধারা অব্যাহত রেখেই গানের সুরে বলছেন, টাকডুম টাকডুম বাজাই, বাংলাদেশের ঢোল। সব ভুলে যাই, সব ভুলে যাই। তাও ভুলিনা বাংলাদেশের ঢোল। এই ধরণের রসিকতার মানুষের দেখা মিলে যায় সত্যিই ভাবতে অবাক লাগছে। তাঁরা যেন প্রাণের টানেই বা পেটের ক্ষুধা নিয়ে এই বাদ্যযন্ত্রের শৈল্পিক কারিগরি হয়ে আছেন। বাপদাদার ঐতিহ্য মনে করেই কেউবা কেউ এই পেশাটিকে ছাড়তে নারাজ। সুতরাং এমন পেশার সুদক্ষ কারিগর ও মিউজিক ম্যান শ্রী অনিল চন্দ্র দাস, বয়স তাঁর ৬০ বছর।
অনিল চন্দ্র দাসের একমাত্র ছেলে শ্রী মিলন কুমার দাসকে নিয়ে বাদ্যযন্ত্র নির্মাণে রয়েছেন। এক ছেলে ও একটি মেয়ে তাঁর। মেয়ে ও ছেলেকে অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়েছেন, তবে মেয়ে শশুর বাড়ি গেলেও তাঁর ছেলের বিবাহিত জীবনে দু’ ছেলে মেয়ে ঘরে আসে। তাঁর পরিবারে এখন সর্বমোট ছয় জন সদস্য। মাসে প্রায় দশ হাজার টাকা আয় করে, তাঁর সংসার যেন ভালোই চলে। কিন্তু এই ব্যবসার আশঙ্কায় আবারও বলেন, আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের প্রভাবে এখন বিলুপ্তির পথেই ঐতিহ্যবাহী বাংলার বাদ্যযন্ত্র। ভবিষ্যতে এই পেশার কেমন বেহাল দশা হয় তা ভাবনায় রয়েছে। যেমন: ঢাক, ঢোল, ঢুগি, তবলা, নাল, ঘটঘটি, খমো, মাদল, খনজনি, একতারা এবং দোতারা সহ আরো অনেক প্রকারের বাদ্যযন্ত্র যেন আগের মতোই বিক্রি হয় না। দেশীয় লোকজ অনেক বাদ্যযন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে এমন নান্দনিক বাদ্যযন্ত্রগুলোকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে হয়তো চিনিয়ে বা পরিচয় করিয়ে দিতেই জাদুঘরের দ্বারস্থ হতে হবে।
তাঁর ছেলে মিলন কুমার দাসকে এই বাদ্য যন্ত্র তৈরি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেছেন, বাবার সঙ্গে কাজ করতে ভালোই লাগে। তাছাড়া বাপ দাদার এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যাওয়া কখনো উচিত হবে না। কি দিয়ে তৈরি করেন এই সব বাদ্য যন্ত্র? উত্তরে বলেন, মাটির খোল, কাঠের ঢোল, তবলা কাঠের ও মাটির ঢুগি তৈরিরসহিত আজকের আধুনিক যুগের লোহার ড্রামসেট এবং প্লেন শিটের সমন্বয়েই হরেক রকমের বাদ্যযন্ত্রের শৈল্পিক ও সুদক্ষ কারিগর তাঁর বাবা। তিনি আরও বলেন, হারিয়ে যাচ্ছে এই দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের চাহিদা, আগের মতো দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের চাহিদা নেই বললেই চলে। খুুব কষ্ট করে বাপ-দাদার জাত পেশাটি তিনি ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।বংশপরম্পরায় তাঁর পূর্বপুরুষেরা বাদ্যযন্ত্র ও সঙ্গীত চর্চার সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। অনিল চন্দ্র দাসের বাবার নাম দেবেন্দ্র চন্দ্র দাস আর দাদুর নাম ভুলানাথ চন্দ্র দাস। সবাই এ পেশায় খুব সফল কারিগরি ছিলেন।একেরপর এক বংশ অতিক্রম করে তাঁর হাতে এসে দাঁড়িয়েছে এমন পেশা। নজরুল ইসলাম তোফাকে বলেছেন, পূর্ব পুরুষদের মৃত দেহ আগুনে সৎকারে উদ্দেশ্যে যে খোল বাজানো হয় তা বংশের ঐতিহ্য। আজও তা রয়েছে, তবে খোলে শুধু চামড়াটাই যেন পরিবর্তন করে মৃত সৎকার সম্পন্ন করেন। বাদ্যযন্ত্র তৈরিতে চামড়া ব্যবহারে গরু, মহিষ, খাসির চামড়া ও হালান বরকীর চামড়া ক্রয় করে নিয়ে এমন শিল্প গুলো নির্মাণ করেন। আবার ড্রাম সেটের পেপার বা স্ক্রিন পেপার রাজশাহী থেকে ক্রয় করে এনে কাজে ব্যবহার করেন। আরও তিনি বলেছেন, শাস্ত্র-গ্রন্হেই রয়েছে অসুর, দৈত্য, দানব এবং অসুভ হীন শক্তিকে প্রতিহত করবার চেষ্টায় অনেক বাদ্য যন্ত্রের প্রচলন রয়েছে। তা হচ্ছে: ডঙ্কা, শিঙ্গা, ঝাঁঝ, (কাশ বা কাশী) ঝাঁপতাল, তুরী, ভেরী ও মাদল সহ অনেক বাদ্যযন্ত্র। তিনি এইসব বাদ্যযন্ত্র ভারত থেকে আমদানি করেন আবার কিছু কিছু বাদ্য যন্ত্র স্বহস্তেই তৈরি করে ”সুর তরঙ্গ” দোকানে রাখেন। এমন দোকানটি রাজশাহী থেকে নওগাঁ যাওয়া মহাসড়কের বামে রাস্তা সংলগ্ন
একটি সরু রাস্তার কোনে অবস্থিত। ঠিকানা: সাবাই হাট, মান্দা, নওগাঁ।
তিনি বলেন, এমন বাদ্যযন্ত্র তৈরিতে দেশীয় ঐতিহ্য রক্ষায় তিনি চেষ্টা করছেন। তবে তিনি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এ কথাও প্রকাশ করেন নি। অনেক দূর দূরান্তের মানুষ তাঁর কাছে আসলে তিনি অনেক আনন্দ পান। তাঁর তৈরি বাদ্যযন্ত্রের প্রসার ঘটানোই যেন অনেক ইচ্ছা। এমন এ পেশা ধরে রাখার জন্যই হয়তো বা দেশীয় অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন। অর্থিক উপার্জন ও কঠোর শ্রমের মাঝে বিস্তর ব্যবধানেও এই নিপুণ শিল্প শৈলী বাঁচিয়ে রাখাটাই অনিল চন্দ্র দাস এবং ছেলে মিলন কুমার দাসের কামনা।

লেখক : নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।





প্রধান সংবাদ এর আরও খবর

বেদে সম্প্রদায় ঝাড়ফুক দিয়েই চলে যাদের জীবন সংসার বেদে সম্প্রদায় ঝাড়ফুক দিয়েই চলে যাদের জীবন সংসার
বর্ণিল আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম দিবস পালিত বর্ণিল আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম দিবস পালিত
কাল দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বক্তব্য তুলে ধরবেন গণতন্ত্র মঞ্চ কাল দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বক্তব্য তুলে ধরবেন গণতন্ত্র মঞ্চ
সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রামে পাঠালো ডিবি সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রামে পাঠালো ডিবি
কক্সবাজার টু সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচলের অনুমতি কক্সবাজার টু সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচলের অনুমতি
খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান
বাড়ির কাছেই মিলছে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ বাড়ির কাছেই মিলছে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ
খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
রাঙমাটি জেলা পরিষদে থেকে আওয়ামীপন্থী সদস্যদের নিয়োগ বাতিল করার দাবীতে মানববন্ধন রাঙমাটি জেলা পরিষদে থেকে আওয়ামীপন্থী সদস্যদের নিয়োগ বাতিল করার দাবীতে মানববন্ধন
ঈশান তালুকদার মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে গুরু আচারিয পূজা ও সংঘদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন ঈশান তালুকদার মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে গুরু আচারিয পূজা ও সংঘদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)