বুধবার ● ২০ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » সন্দ্বীপে যুবলীগ নেতার উপর হামলা
সন্দ্বীপে যুবলীগ নেতার উপর হামলা
সন্দ্বীপ :: (৬ আষাঢ় ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ রাত ৮.৪২মি.) সন্দ্বীপের মুছাপুর বাঘাইরগো দোকান এলাকায় ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদকের উপর হামলা চালিয়েছে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও তার অনুসারী সাঙ্গপাঙ্গরা এমন অভিযোগ করছেন গুরুতর আহত মো. ইকবাল হোসেন। হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা ইকবালকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফেসবুকে ছবি আপলোড দেয়ার মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার সূত্রপাত বলে জানিয়েছে আহত মুছাপুর ৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক ইমরান হোসেন।
ইমরান নিজেকে স্থানীয় পৌরসভার মেয়র জাফরুল্লাহ টিটুর অনুসারী দাবী করে জানান, গত ১৮ জুন সোমবার দুপুরে সন্দ্বীপ সরকারী হাজী এবি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আকবর হোসেন সাজেদের (মেয়র টিটুর অনুসারী) সাথে তোলা একটি ছবি ভাই লিখে আপলোড দেই। এর জের ধরে রাত ৯টায় এমপি মাহফুজুর রহমান মিতার অনুসারী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লালিত বাহিনী হিসেবে পরিচিত শরীফ, রাজু, নূর ইসলাম, সন্জু, রুবেল, আকাশ ও আরমানের নেতৃত্বে এই ছবি আপলোড দিলাম কেন বলে অতর্কিত আমার ওপর হামলা চালায়।
এসময় প্রান বাঁচাতে আমি পার্শবর্তী দোকানে ঢুকে পড়লে দোকানদার শাটার নামিয়ে বাহির থেকে তালা দেয়। কিন্তু এর পর সন্দ্বীপ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে তার ভাই মোস্তফা ও আনোয়ারসহ ২০-২৫ জন উপস্থিত হয়ে তালা ভেঙে আমাকে পুনরায় মারার চেষ্টা করলে আমার বড় ভাই মুছাপুর ৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বাধা দিলে তাকে লোহার রড, বাঁশ ও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে ইকবাল জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সিদ্দিকুর রহমানসহ অন্যরা চলে যায়।
গুরুতর আহত ইকবাল হোসেন ও ইমরান চট্টগ্রামের একটি হসপিটালে চিকিৎসাধীন। দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. নাহিদ বলেন, এক্সে অনুযায়ী ইকবালের বুকের ৬ ও ৭ নং হাড় ভেঙ্গে গেছে, কপালে চারটা সেলাই দেয়া হয়েছে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের ক্ষত রয়েছে আর ইমরানের ডান হাতের কনুয়ের জয়েন্ট ডিসপ্লেসমেন্ট হয়েছে ও শরীরের অনেক জায়গায় আঘাতের ক্ষত রয়েছে। তারা উভয়ই এখন চট্টগ্রাম মা, শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল এন্ড মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ও অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. হোসেন আহমেদ এর তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছে।
তবে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানান, ইমরান-ইকবাল আমাদের দলে জামাত শিবিরের অনুপ্রবেশকারী। সামনে নির্বাচন দলকে বাঁচাতে সভাপতি হিসেবে আমার যা যা করা দরকার আমি তাই করেছি।
সন্দ্বীপ পৌরসভার মেয়র জাফরউল্লাহ টিটু বলেন, ঘটনার সময় ইমরান ও ইকবালের বাবা আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। এটা আমার নির্বাচনী এলাকা না হওয়ায় আমি তাৎক্ষনিক প্রশাসনকে জানানোর পরামর্শ দেই। এসময় সন্দ্বীপে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির অপরাজনীতি চলছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
সন্দ্বীপ সংসদীয় আসনের এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা এ বিষয়ে অবগত নন বলে জানান।