বৃহস্পতিবার ● ২১ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » ঢাকা » ১২তম দিনে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থানে নন এমপিও শিক্ষকরা
১২তম দিনে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থানে নন এমপিও শিক্ষকরা
ঢাকা প্রতিনিধি :: (৭ আষাঢ় ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ রাত ১০.১৫মি.) আজ ২১ জুন সকাল ১০টা থেকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ি তিনটি শিক্ষক প্রতিনিধি দল স্পীকার, ডেপুটি-স্পীকার এবং সকল জাতীয় সংসদ সদস্যকে স্বারক লিপি প্রদান করেন। প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। প্রচ- ভ্যাপসা গরমে উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষক-কর্মচারীরা যথাসময়ে প্রেসক্লাবের সামনে এসে হাজির হন। তারা খোলা আকাশের নীচে অবসাদ ও ক্লান্ত অবস্থায় সমাবেশস্থলে অবস্থান করেন। শিক্ষকরা মুর্হুমুহু স্লোগানে এমপিওভুক্তির দাবি জানাতে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে শিক্ষকরা কেন রাজপথে, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে শিক্ষকরা কেন অভুক্ত, প্রধানমন্ত্রীর এমপিওভুক্তির প্রতিশ্রুতি অবিলম্বে বাস্তবায়ন চাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাঁচার আন্দোলন, চলছে চলবে। পরিবার বাঁচার আন্দোলন, চলছে চলবে। জীবন বাঁচার আন্দোলন, চলছে চলবে। কর্মসূচিতে অবস্থানরত বগুড়া জেলা, শেরপুর উপজেলার খানপুর কয়ের খালি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ রেবেকা পারভীন গুরুতর অসুস্থ হলে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ শিক্ষামন্ত্রীর প্রহসনমুলক এমপিওভুক্তির নীতিমালা স্থগিত করে দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর সকল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী অবস্থানে যোগ দেবে। শুধু তাই নয় এ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপকার ভোগি শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ, দেশের সুশিল সমাজ আমাদের সাথে যোগ দেবে। এমনকি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা অবস্থান স্থলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে করে পরিস্থিতি অন্যরকম হলে, তার দ্বায়-দায়িত্ব শিক্ষমন্ত্রীকে বহন করতে হবে। শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষামন্ত্রী দীর্ঘ ৭ বছর ধরে আপনি বলে এসেছেন বাজেটে এমপিওভুক্তির খাতে অর্থপ্রাপ্তি স্বাপেক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে। কিন্তু এখন বলছেন বাজেটে অর্থ না থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হবে। আপনার এধরনের স্ববিরোধি বক্তব্য শিক্ষকরা প্রত্যাখ্র্যান করেছেন এবং তিব্র নিন্দা জানিয়েছেন। শিক্ষকরা বলেন, ইতিপুর্বে অর্থমন্ত্রী মহোদয় আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ভোগাস, খামোখা, এমপিও ধ্বংশ করে দেব মর্মে বক্তব্য দিয়েছেন। অথচ এখন বলছেন এক হাজার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে, আপনার এধরনের বক্তব্য শিক্ষকরা প্রত্যাখ্যান করেছেন। আপনি শিক্ষাবান্ধব সরকারের অর্থমন্ত্রী হয়ে থাকলে দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর ৫ জানুয়ারীর সকল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রতিশ্রতি অনুযায়ি বাস্তবায়নের জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ রাখবেন। অন্যথায় দাবি আদায়ের পরিস্থিতি ভিন্ন হলে এর দ্বায়ভার আপনাকেও গ্রহন করতে হবে।
আজ অবস্থান চলাকালে বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়ন এর সভাপতি মো. আবুল বাসার হাওলাদার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. সদরুল আমিন প্রমুখ এমপিওভুক্তির দাবীর প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে বলেন, আশা করি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অচিরেই এমপিওভুক্ত করা হবে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ডা. বিনয় ভুলণ রায় বিকাল ৪ ঘটিকায় নিন্মরুপ কর্মসুচি ঘোষনা করেন। তিনি শিক্ষকদের যথাযথ ভাবে কর্মসুচি পালনের আহ্বান জানান এবং যারা এখনও বাড়িতে আছেন তাদেরকে চলমান কর্মসুচিতে দলে দলে যোগ দেওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানান।
আগামী দিনের কর্মসূচি :
২২ জুন রোজ শুক্রবার মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয় বরাবর স্বারক লিপি প্রাদান।
২৩ জুন শনিবার থেকে সারা দেশের নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ থাকবে।