বৃহস্পতিবার ● ২১ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » পা হারালেন বৃদ্ধা : অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বরগুনা ছেড়েছে চারটি লঞ্চ
পা হারালেন বৃদ্ধা : অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বরগুনা ছেড়েছে চারটি লঞ্চ
বরগুনা প্রতিনিধি :: (৭ আষাঢ় ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ রাত ১০.৫৫মি.) বরগুনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে গেছে চারটি লঞ্চ। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মক্ষেত্রে ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল লঞ্চ ঘাটে। এদিকে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়েরও অভিযোগও রয়েছে।
এছাড়াও ভীড়ের মধ্যে দিয়ে লঞ্চে উঠতে গিয়ে এমভি যুবরাজ ও কিং-সম্রাট লঞ্চের চাপে বরগুনা সদরের লাকুর তলা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোসা. সালমা ইসলাম টপির পা ভেঙে গেছে।
তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতারে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. মোখলেছুল রহমান হাসপাতালে তাকে দেখতে যান।
ঈদের আগে ভিআইপি কেবিন ভাড়া ছিল পাঁচ হাজার টাকা। বর্তমানে নেয়া হচ্ছে ৭ হাজার টাকা। ডাবল কেবিন ভাড়া ছিল ২ হাজার দুই শত টাকা। বর্তমানে নেয়া হচ্ছে ২ হাজার আটশত টাকা। সিঙ্গেল কেবিন আগে ছিল এক হাজার একশত টাকা এখন ১ হাজার পাঁচ শত টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
এদিকে ডেকের যাত্রীদের কাছ থেকে ৪ শত টাকা ভাড়া টাকা আদায় করা হচ্ছে। ঈদের আগে যেখানে ভাড়া ছিল ৩৫০ টাকা। বরগুনার নদী বন্দর লঞ্চঘাটে আজ দুপুর ১২টা থেকেই কর্মস্থল মুখী মানুষের ভীড় বাড়তে থাকে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চ ঘাট জনস্রোতে পরিণত হয়। বরগুনা ঘাট থেকে তিনটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে বরগুনা ছেড়ে গেছে। লঞ্চ তিনটি হলো যুবরাজ -৪ ,পুবালী-১ ও কিং সম্রাট।
নির্ধারিত সময়ের দেড় থেকে ২ ঘন্টা আগে লঞ্চগুলো ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। লঞ্চ তিনটিতে তিলধারণে জায়গা নাই।
এছাড়া এমভি সাতিল আরব নামের একটি লঞ্চ পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার পথে ছেড়ে গেছে। প্রতিটি লঞ্চকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘাট নির্ধারণ করে দেয়া দেয়া হলেও মানছেন না লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। নিয়ম না মেনে বিভিন্ন ঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী তুলছেন বলে লঞ্চের যাত্রীরা অভিযোগ করেন।
পুবালী -১ লঞ্চের ভিআইপি কেবিন যাত্রী মো. সিপন বলেন, ঈদের আগে এই কেবিনেই ৫ হাজার টাকায় যাওয়া আসা করতাম কিন্ত ঈদ উপলক্ষে ২ হাজার টাকা কেবিন ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে।
স্থলবন্দর কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, লঞ্চ গুলোতে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করতে পারে সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি এবং যে লঞ্চটি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে তার কাগজ পত্র যাচাই বাচাই করার জন্য আটক করেছি।
জেলা পুলিশ সুপার বিজয় বসাক সিএইচটি মিডিয়া বরগুনা প্রতিনিধিকে বলেন, লঞ্চ গুলোতে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী না তুলতে পারে তার জন্য আমরা তাৎক্ষণিক লঞ্চগুলোকে ঘাট থেকে ছেড়ে দিয়েছি। এছাড়া প্রতিটি লঞ্চকে দুটি করে ঘাটে ভেড়ানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছি।