শনিবার ● ২৩ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » শিক্ষাবিদ রেবতী রঞ্জন বাড়ইয়ের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
শিক্ষাবিদ রেবতী রঞ্জন বাড়ইয়ের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
বাগেরহাট অফিস :: আজ শনিবার ২৩ জুন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, মানবতার সরব কবি শিক্ষাবিদ রেবতী রঞ্জন বাড়ইয়ের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে বাগেরহাট-১ থেকে নির্বাচন করেন এবং সেই নির্বাচনের কনভেনর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রেবতী রঞ্জন বাড়ই । ২৩ জুন ১৯৯৬ সালে তাঁর প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ করছিলেন, ঠিক সেই সময় বিকাল ৪:৪৫ মিনিটে রেবতী রঞ্জন না ফেরার দেশে চলে যান। তাঁর দুই পুত্র ও পাঁচ কন্যা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখছেন। দিনটি উদযাপন উপলক্ষ্যে তাঁর গ্রামের বাড়িতে বিকাল ৩টায় আয়োজিত স্মরণসভায় জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন বলে তার পুত্রদ্বয় মিলন ও যুগল কুমার বাড়ই জানান।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রামচরন বাড়ই ও বিশাখা দেবীর পাঁচ সন্তানের মধ্যে একমাত্র পুত্র সন্তান ছিলেন রেবতী রঞ্জন বাড়ই। তিনি ১৯৩৫ সালের ১৪ নভেম্বর ততকালীন বাগেরহাট মহাকুমার কচুয়া থানাধিন বলেশ্বর নদী বিধৌত চরবানিয়ারী গ্রামের এক মধ্যবিত্ত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন একজন সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মানুষ এবং মা ছিলেন একজন মহিয়সী নারী।
বাবা রামচরন বাড়ইয়ের বাইচের নৌকার সুনাম ছিলো বিভিন্ন এলাকাজুড়ে মানুষের মুখে মুখে। আনন্দ মুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে রেবতী রঞ্জনের বেড়ে ওঠা। তিনি লেখাপড়ায় ছিলেন খুব ভালো। তাঁর বাবার ইচ্ছে ছিল, ছেলে নামডাকে আনেক বড় হবে। কিন্তু রেবতী যখন মেট্রিক পরীক্ষা দেন তার কিছুদিন পর বাবা মারা যান । মেট্রিকে ভালো রেজাল্ট করলেও বাবার মৃত্যুতে সবকিছু তার কাছে ¤øান হয়ে যায়। তবু বাবার স্বপ্ন বাস্তব করার জন্যে তিনি কলকাতা চলে যান, কলেজে ভর্তি হন। কিছুদিন না যেতেই মায়ের টানে বাড়িতে চলে আসেন। কারণ তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তান। তাছাড়া তিনি প্রচন্ড মাতৃবৎসল্য ছিলেন। বাড়িতে এসে ভর্তি হন বাগেরহাট পিসি কলেজে। রেবতী রঞ্জন বাড়ই ছাত্র অবস্থাতেই চিতলমারীর বিশিষ্ট সমাজ সেবক নগেন্দ্র নাথ বড়ালের মেজ মেয়ের সাথে (নিহত অ্যাডভোকেট কালিদাস বড়ালের বোন) বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি শ্বশশুরের সহযোগিতায় পড়ালেখা, রাজনীতি ও সমাজসেবা চালিয়ে যান ।