শুক্রবার ● ২২ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া বানিয়ে রমরমা ব্যবসা শুরু
অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া বানিয়ে রমরমা ব্যবসা শুরু
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৮ আষাঢ় ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সন্ধ্যা ৭.৫৫মি.) ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে দিনমজুর দুই যুবকের পুরুষাঙ্গ কর্তন করে হিজড়ায় রুপান্তর করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। কালীগঞ্জ শহরের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় কেসমতের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২২)ও ভোলপাড়া গ্রামের কাজলকে (২০) অর্থের লোভ দেখায় হিজড়ারা। যশোর একটি বাসায় অপারেশন করা হয় তাদের দু’জন কে।
এদিকে শরিফুল ইসলাম বলেন, সে সহ অপর ২ জন হিজড়াদের বাড়িতে কাজ করতো। ৭ জুন রাতে তাদেরকে খাবারের সঙ্গে অচেতন হওয়ার ওষুধ দিয়ে একটি প্রাইভেটকারে করে যশোরের একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে অপারেশন করে পুরুষাঙ্গ কর্তন করা হয়। পরের দিন শরিফুল ও কাজলকে মাগুরার একটি বাড়িতে আটকে রেখে নাক, কান ছিদ্র করে হাতে চুড়ি পড়িয়ে হিজড়া বানায়। পরে পরিবারের সদস্যদের চাপের মুখে গেল ১৮ জুন সকালে দুই যুবককে কালীগঞ্জে তাদের পিতা-মাতার কাছে ফিরিয়ে দেন হিজড়ারা। গত বুধবার সন্ধ্যায় শরিফুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কালীগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। কর্তব্যরত কালীগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডা. সুলতান আহমেদ বলেন, এ ধরনের অপারেশন একটা আইন বিরোধী কাজ। রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। তাকে উন্নতমানের চিকিতসা দেওয়া দরকার। অপারেশন টি মেজর বলে জানান ডাক্তার সুলতান আহম্মেদ। শরিফুল ইসলাম পেশায় একজন দিনমজুর। মাটি কাটার কাজ করতো তা বাবার সাথে। এ কাজের পাশাপাশি শরিফুল ও কাজল হিজড়াদের সাথে কালীগঞ্জ শহরে শুক্রবার ও সোমবার চাদা আদায় করতো। দু’জনকেই অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া বানিয়ে ব্যবসা করার জন্য নাকি এ কাজ করেছে।
শরিফুলের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, অভিযোগ নিয়ে কালীগঞ্জ থানায় গেলে থানার ওসি মিজানুর রহমান খান, মামলা না নিয়ে তাদের কে থানা থেকে তাড়িয়ে দেয়। পুলিশ রহস্য জনক কারনে বিষয়টি আমলে না নিয়ে নিরব থাকে । ঘটনাটি এলাকায় প্রচার হলে বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শরিফুলের বাড়িতে সাধারন মানুষের ভিড় জমতে থাকে।
এদিকে শরিফুর ও তার মা-বাবা বলছে মুনুরা নামে এক হিজড়া এসব ঘটিয়েছে।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এখনও এমন কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।