বুধবার ● ২৭ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » প্রকৃতি ও পরিবেশ » সুরমা নদীর ভাঙনে বিশ্বনাথে সড়ক বিলীন
সুরমা নদীর ভাঙনে বিশ্বনাথে সড়ক বিলীন
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (১৩ আষাঢ় ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.২৯মি.) সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের পরগনা বাজারের পূর্বে সুরমা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে সড়কের বেশিরভাগ অংশ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে সাতটি গ্রামের মানুষ চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের লামাকাজি-পরগানা বাজার-আজারিগাঁও পাঁকা সড়ক রয়েছে। ওই সড়ক দিয়ে প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষ গাড়িযোগে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে আসছেন। কিন্তু গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সুরমা নদীতে পানির স্রোত বেড়ে যায়। এতে ওই সড়কের পরগনা বাজারের পূর্বে সুরমা নদীর ভাঙনে সড়কের বেশিরভাগ অংশ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে পরগনা বাজার থেকে আজারিগাঁও পর্যন্ত যানবাহান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে লামাকাজি ইউনিয়নের রাজাপুর, আকিলপুর, রসুলপুর, তিলকপুর, আজারিগাও, কৃঞ্চনপুর, খাজাঞ্জীগাঁও গ্রামের মানুষকে এখন পুহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
স্থানীয় লোকজন জানান, জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধ করা না হলে পুরো এলাকা বিলীন হয়ে যাবে। ভাঙন বাড়লে সুরমা নদীর গতিপথও পাল্টে যাবে। এর ফলে ভাঙনের মুখে পড়বে এলাকার কয়েকটি গ্রাম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লামাকাজি ইউনিয়নের পরগনা বাজার এলাকায় সড়ক সুরমা নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে চলাচল করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তিলকপুর গ্রামের শামছুদ্দিন বলেন, ‘সুরমা নদীতে যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে যেকোনো সময় এলাকার বাড়িঘর ভেসে যাবে। বৃষ্টি হলে সুরমা নদীতে স্রোত বেড়ে যায়। এলাকার মানুষজন উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন।’
রাজাপুর গ্রামের সমছু মিয়া বলেন, ভাঙন রোধের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু কেউ উদ্যোগ নেয়নি এ পর্যন্ত। যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে সুরমা নদীর গতিপথ পাল্টে যাবে এবং নদীটি গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত হবে। এতে শত শত পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, সুরমা নদীর ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সড়ক নদীর গর্ভে চলে গেছে। কিন্তু সীমিত বরাদ্দে ওই ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অবহিত করা হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, বিষয়টি উবর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তবে বর্ষা মাস শেষ হলে নদী ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।