বৃহস্পতিবার ● ২৮ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বদলে যাচ্ছে গাইবান্ধার মানচিত্র
ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বদলে যাচ্ছে গাইবান্ধার মানচিত্র
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (১৪ আষাঢ় ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৫৬মি.) গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বদলে যাচ্ছে জেলার মানচিত্র। নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়ায় পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে ভাঙন। মুহূর্তের মধ্যে ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে চলে যাচ্ছে ফসলি জমিও ভিটেমাটি। ভাঙন ঠেকাতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হলেও কাজে তেমন গতি নেই। ফলে সরকারের এই উদ্যোগেও ভরসা পাচ্ছে না ক্ষতিগ্রস্তরা।
প্রায় এক সপ্তাহে ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়েছে ৩০টি পরিবারের সব কিছু। ভাঙন অব্যাহত থাকায় প্রতি মুহূর্তে মাথা গোঁজার ঠাই হারানোর আতংক নিয়ে বসবাস করছেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী গ্রামের মানুষ। ভাঙন প্রতিরোধ কাজের উদ্বোধনের পর আশায় বুক বাঁধলেও কাজের কচ্ছপ গতিতে চরম দুশ্চিন্তায় ফেলেছে তাদের। ভাঙন কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে কাজের গতি না বাড়ালে বাস্তুহারা মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে শঙ্কা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় প্রতিনিধিরা বলছেন, ভাঙন প্রবণ এলাকাগুলোতে তাদের কাজ শুরু হয়েছে। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছে বন্যার পরে জোরেশোরে শুরু হবে প্রকল্পের কাজ। ডক ইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের স্থানীয় প্রতিনিধি হাজী মো. মির্জা হাসান বলেন, যেসব জায়গাতে ভাঙন দেখা দিয়েছে সেসব জায়গাতে আমরা বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালাচ্ছি। ১লা জুন গাইবান্ধা সদরের বাগুড়িয়া থেকে ফুলছড়ি উপজেলার গণকবর পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীরে ভাঙন প্রবণ চারটি পয়েন্টে দুশ’ পঁচানব্বই কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।