শুক্রবার ● ২৯ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যেই হোক না কেন তাদেরকে ছাড়া দেয়া হবে না : মো. নূরুল আমিন
পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যেই হোক না কেন তাদেরকে ছাড়া দেয়া হবে না : মো. নূরুল আমিন
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১৫ আষাঢ় ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ রাত ৮.০০মি.) পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যেই হোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নূরুল আমিন। তিনি বলেন, সরকার বসে নেই দীর্ঘ ২ বছর তালিকা করে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। তেমনি পার্বত্য অঞ্চলেও অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে ও অভিযান শুরু হবে বলে তিনি সভায় উল্লেখ করেন।
আজ ২৯জুন শুক্রবার সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর আয়োজনে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নে করণীয় শীর্ষক সেমিনার পার্বত্য মন্ত্রনালয়েল ভারপ্রাপ্ত সচিব এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স মিলনায়তনে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা’র সভাপতিত্বে সেমিনারে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুন কান্তি ঘোষ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত-সচিব সুদত্ত চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, সদর জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ রেদওয়ানুল ইসলাম বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ। সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আনন্দ বিকাশ চাকমা। আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, রাঙামাটি বাঘাইছড়ি কাচালং কলেজের অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ দেওয়ান ও রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য অঞ্চলে অনেক কাজ হচ্ছে না। তিনি বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি অনুযায়ী পর্যটন বিভাগ রাঙামাটি জেলা পরিষদের কাছে ন্যাস্ত হলেও রাঙামাটিতে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ইচ্ছা মতো অনেক পর্যটন স্পট গড়ে তুলছে। পার্বত্য জেলা পরিষদের সাথে সমন্বয় রেখে এসব প্রতিষ্ঠান যদি পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কাজ করতে তাহলে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হতো।
সেমিনারে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, প্রতিষ্ঠান প্রধান, সংবাদকর্মী, ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থেকে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।