শুক্রবার ● ২৯ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » হত্যার ৯ মাস পর বিল থেকে যুবকের কংকাল উদ্ধার
হত্যার ৯ মাস পর বিল থেকে যুবকের কংকাল উদ্ধার
ময়মনসিংহ অফিস :: (১৫ আষাঢ় ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ রাত ১০.৫০মি.) ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় মোটরসাইকেল চুরির টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে হত্যার ৯ মাস পর যুবক আলম মিয়ার (৩০) কংকাল উদ্ধার করেছে পিবিআই। নিহত আলম মিয়া টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি পাহাড়ীয়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে।
আজ ২৯ জুন শুক্রবার সকালে পিবিআইয়ের একটি দল হত্যাকারী সাদ্দামকে সাথে নিয়ে উপজেলার রাঙামাটিয়া ইউনিয়নের বড়বিলা বিল থেকে স্থানীয় ও ডুবরীদের সহায়তায় নিহত আলমের মাথার কংকাল শরীরের অন্যান্য হাড় উদ্ধার করে।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর এস আই ফজলুর রহমান ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়ীয়া উপজেলার হাতিলেইট গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সাদ্দাম মিয়া পেশায় মোটর সাইকেল চোর। হত্যাকারী সাদ্দাম ও নিহত আলম একে অপরের আতœীয়। সেই সূত্রে উভয়ে মোটরসাইকেল চুরির সাথে জড়িয়ে পড়ে। মোটরসাইকেল চুরির টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে উভয়ে মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে আলম মিয়াকে হত্যা করে বড়বিলা বিলে লাশ ঘুম করে।
পরে নিহতের মা থানায় জিডি করার পর ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। এ সময় নিহতের মা মনোয়ারা বেগম ময়মনসিংহ আদালতে সাদ্দাম মিয়া, রহুল আমীন ও জুলহাসকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য পিবিআই পুলিশকে দায়িত্ব দেন। পিবিআই পুলিশের এস আই ফজলুর রহমান এ ঘটনায় সাদ্দামকে আটকের পর হত্যার রহস্য বেড়িয়ে আসে।
পরে আজ শুক্রবার সকালে হত্যাকারী সাদ্দামকে সাথে নিয়ে বড়বিলায় লাশ উদ্ধারে আসে পিবিআইয়ের একটি দল। এসময় স্থানীয় ডুবরীদের সহায়তায় বিল থেকে নিহত আলমের মাথার কংকাল শরীরের অন্যান্য হাড় উদ্ধার করা হয় বলে আরও জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফজলুর রহমান।
এদিকে নিহতের মা মনোয়ারা বেগম জানান, আমার ছেলে আলমকে ঢাকার বাসা থেকে ডেকে এনে সাদ্দাম ও তার লোকজন হত্যা করে লাশ ঘুম করে। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।