মঙ্গলবার ● ৩ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » পটুয়াখালীতে অর্ধশতাধিক ব্রিজ ঝুকিপূর্ন : জনসাধারণের চরম ভোগান্তি
পটুয়াখালীতে অর্ধশতাধিক ব্রিজ ঝুকিপূর্ন : জনসাধারণের চরম ভোগান্তি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: (২০ আষাঢ় ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.২৮মি.) পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অর্ধশতাধিক ব্রিজ এখন মৃত্যুফাঁদে পরিনত হয়েছে। বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় কারনে বাধ্য হয়েই এসব ঝুঁকিপূর্ন ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে হাজারো মানুষ। বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে এসব ব্রিজগুলো মেরামত না করায় গ্রামীন জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থা হয়ে পড়েছে চরম ঝুকিপূর্ন।
জানা যায়, গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত ও সহজতর করতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জেলা পরিষদ ৮০ ও ৯০’র দশকে কলাপাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ৬৯টি ব্রিজ র্নিমান করে। এরফলে গ্রামীন জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয় নতুন দিগন্ত। কিন্তু নির্মান পরবর্তী সময় থেকে এসব ব্রিজের সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে তা জনদুর্ভোগে পরিনত হয়েছে। এর মধ্যে ধানখালীর তিনটি, লতাচাপলীর ছয়টি, চাকামইয়া ইউনিয়নের একটি, টিয়াখালীর একটি, নীলগঞ্জে একুশটি, মহিপুরের তিনটি, বালিয়াতলীর তিনটি, লালুয়ার তিনটি, মিঠাগঞ্জে নয়টি, ধুলাসারে একটি, ধানখালীর চারটি, চম্পাপুর ইউনিয়নের দুইটি ব্রিজর অনেক স্লাব ভেঙ্গে গেছে। মূল পিলারসহ ক্রস এঙ্গেল মরিচা পড়ে ভেঙ্গে পড়েছে। অনেক ব্রিজের লোহার পাত ও এঙ্গেল চুরি হয়ে গেছে। অনেক ব্রিজের মুল কাঠামো নষ্ট হয়ে গেছে।ফলে ব্রিজগুলো যাত্রীসহ যানবাহন চলাচলে ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠেছে। এসব ব্রিজ সংলগ্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা রয়েছে সীমাহীন দূর্ভোগে।
অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বলা জানা গেছে, ঝুকিপূর্ন ব্রিজের কারনে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। পক্ষীয়াপাড়া এলাকার আ.জলিল খান জানান, ভাঙ্গা বিধ্বস্ত কয়েকটি স্লাব ও মরচে ধরা ঝুলে পড়া লোহার এঙ্গেলের উপর ঝুলে আছে তাদের এলাকার সেতুটি। মানুষ উঠলে কখনো ডানে - বামে কাঁত হয়। চরম ঝুঁকি নিয়ে এলাকাবাসী এভাবে কাঁপতে কাঁপতে সেতুর মাঝ বরাবর আসলেও কখনো কখনো নিজেকে সামলাতে না পেরে পড়ে যায় পানিতে।
মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মানিক রহমান জানান, মধুখালীর ইউনিয়নের জয়বাংলা বাজার সংলগ্ন সাপুড়িয়া ভাড়ানির খালের উপরের আয়রণ ব্রিজটি দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না। মানুষ চলাচলও বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এ ব্রিজ দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে বিগত ছয় মাসে অন্তত: শতাধিকের মত মানুষ আহত হয়েছে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নাসির উদ্দিন জানান, ৮০’র দশকের মাঝামাঝি সময় ইউনিয়নের এই ব্রিজগুলো নির্মান করা হয়েছে। সব কটি ব্রিজের এখন বেহাল অবস্থা। কোনটির স্লাব নেই। কোনটির লোহার এ্যাঙ্গেল নেই। মুল লোহার ভিমগুলো মরিচা ধরে ভেঙ্গে গেছে।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান জানান, বর্তমানে নতুন কোন ব্রিজ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই। তবে গুরুত্ব অনুসারে ভাংগা ব্রিজের স্থলে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।