বুধবার ● ৪ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » টানা বর্ষনে রাঙ্গুনিয়ার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত
টানা বর্ষনে রাঙ্গুনিয়ার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি :: (২০ আষাঢ় ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৪১মি.) রাঙ্গুনিয়ার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় নদী-খালের তীরবর্তী এলাকার শ খানেক গ্রামের অন্তত ৬ শ কাঁচা বসত ঘর ডুবে গেছে। পানির নিচে রয়েছে অন্তত ২০ টি আভ্যন্তরীন সড়ক। পাহাড়ী ঝুঁকিপূর্ন এলাকা থেকে বসতি সরে যেতে প্রশাসণের পক্ষ থেকে সর্তক করা হয়েছে। সড়ক ও স্কুল ঘর পানিতে ডুবে যাওয়ায় স্থগিত রয়েছে একটি বিদ্যালয়ের অর্ধ বাষিক পরীক্ষা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোহাম্মদ বদরুল আলম বলেন, প্রচুর বৃষ্টির কারনে পারুয়া ইউনিয়নের সাহাব্দী নগর উচ্চ বিদ্যালয়, সড়ক ও আশপাশ এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় স্থগিত রাখা হয়েছে ওই স্কুলের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা। পরে নতুন প্রশ্নপত্রে ওই স্কুলের পরীক্ষা নেয়া হবে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, টানা বর্ষনে মরিয়ম নগর চৌমুহনী ও পারুয়া ডিসি সড়কের প্রায় ১০ স্থান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় নতুনভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি তলিয়ে গেছে পারুয়া, সরফভাটা, শিলক, লালানগর, হোছনাবাদ, রাজানগর, ইসলামপুর, দক্ষিণ রাজানগর ও স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের অন্তত ৬০ টি গ্রাম। পারুয়া সোনাই ছড়ি গ্রামের সুমিত বড়ুয়া মুঠোফোনে বলেন, টানা বৃষ্টির কারনে তাঁরা পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকার শ খানেক ঘর পানিতে ডুবে রয়েছে। হোছনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেন বলেন, টানা বৃষ্টিতে এলাকার বেশির ভাগ সড়ক পানির নিচে। ডুবে গেছে অন্তত ৪০ টি কাঁচা ঘর। পারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুর রহমান তালুকদার বলেন, উত্তর রাঙ্গুনিয়ার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম পারুয়া ডিসি সড়কের অন্তত ৭ স্থান পানিতে নিমজ্জিত। এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, পানিতে ডুবে যাওয়া ঘরবাড়ি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের তাৎক্ষনিক সহযোগিতার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বলা হয়েছে। পাহাড়ী ঝুঁকিপূর্ন বসতি থেকে লোকজনকে সরে যেতে সতর্ক করা হয়েছে।