বুধবার ● ৪ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » গাইবান্ধায় উদ্যোক্তাদের মধ্যে যন্ত্রচালিত পাটের আঁশ ছাড়ানোর মেশিন বিতরণ
গাইবান্ধায় উদ্যোক্তাদের মধ্যে যন্ত্রচালিত পাটের আঁশ ছাড়ানোর মেশিন বিতরণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (২০ আষাঢ় ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৫২মি.) যন্ত্রচালিত পাটের আঁশ ছাড়ানোর সেমিঅটোমেটিক মেশিন ‘আশকল’ উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণের জন্য চারদিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ গাইবান্ধা সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) অনুষ্ঠিত হয়। মেশিন বিতরণ উপলক্ষে আজ বুধবার ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্যোক্তাদের মধ্যে যন্ত্রচালিত পাটের আঁশ ছাড়ানোর মেশিন বিতরণের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল।
আরডিআরএস বাংলাদেশ কর্মসূচী ব্যবস্থাপক পোরসিয়া রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম সাদিকুল ইসলাম, গাইবান্ধার মুখ্য পাট পরিদর্শক মো. মকবুল হোসেন, গাইবান্ধা সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ আতিকুর ইসলাম, প্রাকটিক্যাল এ্যাকশন বাংলাদেশের রিজিওনাল ম্যানেজার মো. নেহাল আজমাত মহী প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে জেলার ১১ জোড়া উদ্যোক্তাদের (প্রতি জোড়ায় একজন পুরুষ ও একজন নারী) মধ্যে ওই মেশিন বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশন বাংলাদেশ, আরডিআরএস বাংলাদেশ, টিটিসর কর্মকর্তা, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চারদিনব্যাপী পাটের ছাল ছাড়ানোর অটোমেটিক মেশিন উদ্যোক্তা ছাল ছাড়ানো এবং পাট কাঠি উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ শেষে ১১ জন কৃষককে এই মেশিন বিতরণ করা হয়। ইউরোপীয়ান কমিশনের অর্থায়নে প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশন ও আরডিআরএস বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই মেশিন বিতরণ করা হয়।
বক্তারা বলেন, পাট বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মেশিনে পাটের ছাল ছাড়ানো হলে শ্রম কম লাগবে, পাটের আঁশ ভালো থাকবে এবং বেশি মূল্য পাওয়া যাবে। এতে করে কৃষকরা লাভবান হবে। সেইসাথে অন্যান্য উন্নত দেশের মত পাটের আঁশ পঁচানো, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বাজারজাতকরন করা যাবে। এছাড়া এই মেশিন দিয়ে কৃষকরা অন্যান্য ফসলেরও মাড়াই কাজ করতে পারবে।