বুধবার ● ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বনপা’র মুখপাত্র : সাজানো মামলা থেকে জামিন পেলেন
বনপা’র মুখপাত্র : সাজানো মামলা থেকে জামিন পেলেন
শামসুল আলম স্বপন :: ২৩ সেপ্টেম্বর : একাধিক চাঁদাবাজি ও কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের চেক জালিয়াতি মামলার সাবেক আসামী আল মামুন সাগরের দায়ের করা ভুঁয়া ও সাজানো মামলা থেকে জামিন পেয়েছি এ কথা লিখতে মন সাই দেয়নি। কিন্তু বনপা’র সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কৃত নির্লজ্জ সুভাষ সাহার বিশেরবাঁশীর বিষোধগারের কারণে লিখতে বাধ্য হলাম। গত রোববার কুষ্টিয়া সদর আমলী আদালত থেকে ওই ভুঁয়া মামলায় জামিন লাভ করি। আমার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাড. আব্দুল বারী । তাঁর সাথে ছিলেন অর্ধশত আইনজীবি । এই মিথ্যা মামলায় বাদির পক্ষে কোন আইনজীবি দাঁড়াননি। কারণ কুষ্টিয়াবাসী জানেন একজন শিল্পপতি ও একজন রাজনৈতিক দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে বিজয় নিউজ ২৪ ডটকমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের পর ওই শিল্পপতি ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত নেপথ্যে থেকে বাদিদেরকে অর্থদিয়ে ম্যানেজ করে ১৯ দিনের মধ্যে ৩টি ভুঁয়া ও মিথ্যা মামলা দাখিল করান। তড়িঘড়ি করে আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলার আরজি লিখতে যেয়ে বাদির নিজ বাড়ির ঠিকানা আমার ঠিকানা বলে উল্লেখ করেছে। (দেখুন মিথ্যা কাকে বলে) ।
এই মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক মামলার ব্যাপারে ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,স্বরাষ্টমন্ত্রী, আইজিপি,র্যাব প্রধান এবং দেশের সবক’টি গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা ইতোমধ্যে ভুঁয়া ও মিথ্যা মামলা গুলো খতিয়ে দেখছেন।
বনপা’র পদহারানো সুভাষ বাবুকে জানাতে চাই, ঢোঁড়া সাপের গায়ে কেউ লাঠি মারে না। সাংবাদিকতার শুরু থেকে সমাজ বিরোধী, রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত,অসৎ আমলা’র বিরুদ্ধে আমার কলম ছিল ক্ষুরধার । আপোষ কাকে বলে জানি না। এ কারণে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তের রোষানলে পড়তে হয়েছে বার বার। আমিসহ আমার বেশ কয়েকজন সহকর্মীকে হতে হয়েছে একাধিক মিথ্যা মামলার আসামী। মহান আল্লাহর দরবারে লাখো শুকরিয়া যে ওই সব মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলায় ১দিনের জন্যও জেলে নিতে পারেননি দুর্বৃত্তরা। বরং সময়ের বিবর্তনে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
শ্রদ্ধেয় প্রবীর শিকদার যদি আপোষ করতেন তা হলে তাঁকে জেলে যেতে হতো না। জেল খারাপ মানুষের জন্য কারাগার কিন্তু মানুষের জন্য ইবাদতগার । প্রবীর শিকদার বাইরে থেকে যতটানা জনপ্রিয় ছিলেন তার থেকে অনেক বেশী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন জেলে গিয়ে। তাই কবির ভাষায় বলতে হয়; “ভয়ে মরে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর….।
আপলোড : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : দুপুর ২.৫৭ মিঃ