শুক্রবার ● ৬ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » গাজিপুর » সেনা সদস্যের সহায়তায় প্রতিবন্ধী নারীকে নির্যাতন
সেনা সদস্যের সহায়তায় প্রতিবন্ধী নারীকে নির্যাতন
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২৩ আষাঢ় ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৩৪মি.) গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রতিবন্ধী নারীকে নির্যাতনে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে এক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে। ওই সেনা সদস্যের নাম সুমন।
তিনি রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টমেন্টে সৈনিক পদে কর্মরত। উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের মাহতাবপুর (বাগেরহাট) গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে তিনি।
সুমন সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা একই গ্রামের মোঃ হালিম উদ্দিনের শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণ করার হুমকি দিয়েছে। এতে করে ভিকটিম জান-মাল-ইজ্জতের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
ভিকটিম জানায়, দুই বছর আগে সৈনিক সুমনের ছোট ভাই সোহাগের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সোহাগের বাড়িতে সংসার করতে থাকে। বিয়ের পরপরই তাদের দাম্পত্য জীবনের সুখের কথা ভেবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রায় এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার আসবাব পত্র উপহার হিসেবে দেয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই স্বামী সোহাগ মটর সাইকেল কেনার জন্য ভিকটিমের বাবার বাড়ি থেকে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা এনে দেবার জন্যে ভিকটিমকে মানসিকভাবে চাপ দিতে থাকে।
ভিকটিম তার পরিবারের দৈন্যদশার কথা উল্লেখ করে যৌতুকের চাহিদা মিটাতে অপারগতা প্রকাশ করলে প্রায়ই কথা কাটাকাটির পর সোহাগ তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এ নিয়ে ভিকটিমের পরিবার স্থানীয়ভাবে আপোষ মীমাংসার চেষ্টা চালালেও বিষয়টির কোনো সুরাহা করতে পারেনি।
চলতি ২০১৮ সালের ৬ মে উক্ত যৌতুকের দাবিতে ভিকটিমকে সোহাগ ও তার পরিবারের লোকজন বেধরক মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তখন সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়। পর দিন ৭ মে ভিকটিম বাদী হয়ে সোহাগ, তার মাতা খোদেজা বেগম, পিতা আবুল কাশেম ও তার ভাই সুমনকে আসামী করে কাপাসিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এ ব্যাপারে কোনো প্রতিকার না পেয়ে সে গত ২৪ জুন গাজীপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ও ৪ ধারায় একটি মামলা (২০৮/২০১৮) দায়ের করে।
এতে সোহাগ ও তার পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে রিয়া ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকে। নিরুপায় হয়ে সে গত ২৮ জুন কাপাসিয়া থানায় সোহাগ ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (নং- ১০৬৭ ) করে।
উক্ত মামলা ও জিডি প্রত্যাহার করে নিতে সুমন সহ ৪ জন ভিকটিমকে চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা হুমকি দেয় সেই মামলা ও জিডি প্রত্যাহার না করলে তাকে অপহরণ পূর্বক ধর্ষণ করা হবে।
এ ব্যাপারে কথা হয় সুমন, সোহাগ সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। তারা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তারা ওই নারীর ফাঁদে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।তাদের বিরুদ্ধে আনীত কোন অভিযোগ সত্য নয়।