রবিবার ● ৮ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হবিগঞ্জ আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষন
হবিগঞ্জ আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষন
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :: (২৪ আষাঢ় ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৫৪মি.) আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা সমালোচনা ও চুলছেড়া বিশ্লেষন শুরু হয়েছে। কে কোন দলের প্রার্থী হবেন তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলের নেতারা কেন্দ্রীয় ভাবে এখন থেকেই লবিং তদবির শুরু করেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঈদ ও পুজা উপলক্ষে পত্র-পত্রিকায় এবং শুভেচ্ছা কার্ড ছাপিয়ে সাধারন জনসাধারনের মধ্যে প্রচারনা শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। হবিগঞ্জ ১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে প্রধান দুই রাজনৈতিক জোট এর শরীক দল গুলো তাদের নিজ দলের মধ্যে লবিং ও দলীয় নেতা কর্মীদের মত বিনিময় ও সভা সমাবেশ শুরু করেছেন।দুই জোটের প্রধান তিনটি দলের মধ্যে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পাটির সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারনা লক্ষ্যনীয়। জাতীয় সংসদ এর হবিগঞ্জ-১ আসন বিগত দিনে বরাবরই ছিল বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের দখলে। ১৯৭০সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আব্দুল আজিজ চৌধুরী, ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত হন আওয়ামীলীগের প্রার্থী আব্দুল মান্নান চৌধুরী ছানু মিয়া, ১৯৭৯ সালে নির্বাচিত হন জাসদ প্রার্থী মাহবুবুর রব সাদী, ১৯৮৬ সালে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ইসমত আহমদ চৌধুরী, ১৯৮৮ সালে জাসদের এডভোকেট আব্দুল মোচাব্বির চৌধুরী, ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে জাপার প্রার্থী প্রয়াত খলিলুর রহমান চৌধুরী রফি এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে এ আসনের এমপি হন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত দেওয়ান ফরিদ গাজী। ২০০১ সালে আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন দেওয়ান ফরিদ গাজী। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে তৃতীয় বারের মত প্রয়াত দেওয়ান ফরিদ গাজী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১০ সালের ১৯ নভেম্বর দেওয়ান ফরিদগাজী মৃত্যু বরণ করেন। পরে ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারী ঐ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দূর্গে প্রথম হানা দিয়ে আওয়ামীলীগের দলীয় হেভিওয়েট প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরীকে মাত্র ১২৮৫ বোটে পরাজিত কওে বিএনপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ¦ শেখ সুজাত মিয়া বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। উপ-নির্বাচনে বিএনপির এই আসনের বিজয় নিয়ে তখন সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও বিএম এর সভাপতি ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী দলীয় কোন্দল ও নেতাকর্মীদের নেতিবাচক ভুমিকার কারনে মাত্র ১২শ ৮৫ ভোটে পরাজিত হন। বিগত ৪ টি সংসদ নির্বাচনে ধারাবাহিক আওয়ামীলীগ প্রার্থী বিজয়ী হলেও উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী পরাজিত হওয়ায় কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা হতবাক হন। পরে ২০১৪ সালে মহাজোট গঠন হলে এ আসনটি জাতীয় পাটিকে ছেড়ে দেয়া হয়। এর পর ২০১৪ সালে জাতীয় দশম সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদন্ধীতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু। এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগ থেকে একাধিক প্রার্থীর নাম আলোচনায় এসেছে। যদি একাদশ সংসদ নির্বাচন জোটগত হয় হিসাব নিকাশ পাল্টে যেতে পারে। তবে দলীয় ভাবে একক নির্বাচন হলে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে। আওয়ামীলীগের প্রয়াত সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজীর তনয় জেলা আওয়ামীলীগ নেতা দেওয়ান শাহনেয়াজ গাজী মিলাদ, বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএম এর সভাপতি ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের জনপ্রিয়চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, কানাডা প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা মেজর (অব.) সুরঞ্জন দাশ,নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বাজার ব্যবসায়ী সতিরি সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আব্দুল মুকিত চৌধুরী প্রচারনায় রয়েছেন। এছাড়া আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন চাওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এএমএস কিবরিয়ার তনয় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়ার নাম। নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলা দুটিতে দেশের বৃহত্তম প্রাচীন দল আওয়ামীলীগের দলীয় কোন্দল রয়েছে। দুটি উপজেলায় কয়েকটি ধারায় বিভক্ত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা । কে কখন কোন নেতা পিছু ধওে তা বুঝে উঠা দায় হয়ে উঠেছে। একটি ধারার নেতৃত্বে দিচ্ছেন বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএম এর সভাপতি ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী, আরেক গ্রুপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামীলীগ থেকে প্রয়াত সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজীর তনয় দেওয়ান শাহনেয়াজ গাজী মিলাদ, অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চেšধুরীর। এছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীকে নিয়ে ছোটখাট নেতাকর্মীদের রয়েছে আলাদা আরেকটি বলয় ।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির থেকে এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ¦ শেখ সুজাত মিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র শিকাগো বিএনপির সভাপতি শাহ মোজাম্মেল নান্টু এই আসনে নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে লড়তে চান বলে শুনা যাচ্ছে । নবীগঞ্জে উপজেলা বিএনপিও এখন দ্বি-খন্ডিত । গত বছরের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথম বারের মতো নবীগঞ্জ উপজেলায় ব্যতিক্রম কিছু ঘটে। যুক্তরাষ্ট্র শিকাগো বিএনপির সভাপতি শাহ মোজাম্মেল নান্টু সমর্থিত ৪জন বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পান । এনিয়ে দলীয় কোন্দল চরম আকার ধারন করে।এই দ্বি-খন্ডের কারণে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির চরম ভরাডুবি হয় । এটাকেই একমাত্র কারণ হিসেবে মনে করছেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা । অপরদিকে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসাবে বিএনপির শেখ সুজাত মিয়ার নাম শোনা যাচ্ছে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই উপজেলায় উক্ত আসনের ২০টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামীলীগ ১২জন বিএনপি ৩জন জাপা ১ জন, স্বতন্ত্র ৪ জন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুটি উপজেলায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী বিজয়ী হন। নবীগঞ্জে বিজয়ী হন জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, বাহুবলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই নির্বাচিত হন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে নবীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আশরাফ আলী ও বাহুবলে ইসলামী ঐক্যজোট নেতা শিহাব উদ্দিন শাকিব বিজয়ী হন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুটিই বিএনপি সর্মথিত। বাহুবলে নাদিরা খানম ও নবীগঞ্জে নাজমা বেগম। এদিকে জাতীয় পাটি থেকে একক প্রার্থী হিসাবে বর্তমান এমপি ও কেন্দ্রীয় জাতীয় পাটির সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু প্রচারনা করছেন। যদি জোট নির্বাচন হয় তিনি হবেন মহাজোটের প্রার্থী। তবে লন্ডন প্রবাসী জাপা নেতা আব্দুল হামিদ চৌধুরী প্রবাসে থেকে ব্যানার পেষ্টুনের মাধ্যমে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে জাপা প্রার্থী হতে চান। বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ,বিএনপি, জাতীয়পাটি সমর্থকরা প্রিয় নেতাকে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে এমপি হিসেবে দেখতে চান বলে বিভিন্ন হাট-বাজারে ব্যানার,পেষ্টুনে এমন চিত্র ধারণ করে টাঙ্গিয়ে রাখতে দেখা যায়। এব্যাপারে বর্তমান সংসদ সদস্য এম,এ মুনিম চৌধুরী বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিগত ২১ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি তার চেয়ে বেশি উন্নয়ন করেছি আমি। অনেক ভাঙ্গা রাস্তার ডিও লেটার প্রদান করেছি। অচিরেই কাজ হবে বলে জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন আগামী সংসদ নির্বাচনে তিনি মহাজোট হলে তিনি জোটের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করবেন। জাপার দলীয় একক প্রার্থী হিসাবে তিনি প্রচারনা করছেন বলে জানান।এদিকে বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএম এর সভাপতি এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী বলেন ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি উপ নির্বাচনে দলীয় কিছু বিশ্বাসঘাতকদের কারনে সামান্য ভোটে তার পরাজয় হয়েছিলো। তিনি আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন এবং মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবেন। তিনি আরো বলেন আমি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে নবীগঞ্জ-বাহুবলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আগামীতে আমাকে জনসাধারণ কাজের মুল্যায়ন করবেন। আওয়ামীলীগ থেকে প্রয়াত সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজীর তনয় হবিগঞ্জ জেলা দেওয়ান শাহনেয়াজ গাজী মিলাদ, বলেন আমার বাবা উক্ত আসনের ৪ বারের সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি এলাকার জনস্বার্থে সততার সাথে অনেক কাজ করেছেন। আমি তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার বাবার অবদান তুলে ধরেছি। তিনি বিগত নির্বাচনে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিলেন কিন্তু মহাজোটের কারনে আমি নেত্রীর কথায় আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। আশা করি নেত্রী আমার ত্যাগের মুল্যায়ন করে পুনরায় মনোনয়ন দিবেন।নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করছি। আমি বিগত নির্বাচনে আওয়ামীগের দলীয় প্রার্থী হিসাবে শুধু নবীগঞ্জ উপজেলাতেই ৪২ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছি। তৃর্নমুল নেতাকর্মীদের যদি দল মুল্যায়ন করেন তা হলে নেত্রী আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিবেন বলে আমি বিস্বাস করি। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী,বলেন আমি দলীয় মনোনয়ন চাইবো দলীয় মনোনয়ন পেলে সরাসরি নির্বাচন করবো। আমি এলাকায় ব্যাপক গন সংযোগ করতেছি। আমাদের সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে তাই জনগন আগামীতে নৌকায় ভোট দিতে ভুল করবেন না। এদিকে বিএনপির একক প্রার্থী হিসাবে প্রচারনায় থাকা সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ¦ শেখ সুজাত মিয়া বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এলাকার মধ্যে কোন উন্নয়ন হয় নাই। যা হয়েছে সব লুটপাট আর নিজের উন্নয়ন। আগামী নির্বাচন সুষ্টুভাবে হলে জনগন বর্তমান সরকারের প্রার্থীদের শুধু বয়কট ও ভোটের মাধ্যমে প্রত্যাখান করবেন। আগামী নির্বাচনে যদি আমার দল অংশগ্রহন করে আমি দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিবো। বিগত সময়ে উপ-নির্বাচনে জনগন আমাকে বিজয়ী করেছিলো কিন্ত সরকার অন্যদলের হওয়ার কারনে আশানুরুপ কোন উন্নয়ন করতে পারি নাই। নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী বলেন,আমার বাবাও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। আমিও আওমীলীগ পরিবারের লোক হিসাবে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তাই দলীয়ভাবে নেত্রীর কাছে মনোনয়ন চাইব। আওয়ামী যুবলীগেরকেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল মুকিত চৌধূরী বলেন, আমি দলীয় মনোনয়ন চাইবো দল যদি আমাকে টিকেট দেয় তাহলে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করবো। অন্যতায় দল যাকে মনোনয়ন দিবে আমি তার পক্ষে কাজ করবো।