সোমবার ● ৯ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » নিম্ন মানের কাজে ঠিকাদারকে সহযোগিতা: সলঙ্গায় অবরুদ্ধ প্রকৌশলী
নিম্ন মানের কাজে ঠিকাদারকে সহযোগিতা: সলঙ্গায় অবরুদ্ধ প্রকৌশলী
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :: (২৫ আষাঢ় ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৫৭মি.) সড়ক মেরামতে নিম্ন মানের কাজে ঠিকাদারকে সহযোগিতা করায় সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ঘুড়কা বাজারে রবিবার ১১ টার দিকে জনতা কর্তৃক অবরুদ্ধ হয় রায়গঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম । আবারো সোমবার নিম্ন মানের কাজ কারায় জনতা কর্তৃক উপ-সহকারি প্রকৌশলী প্রহৃত হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, তেলিজানা থেকে জয়েনপুর ও ঘুড়কা বাজার থেকে পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদ আঞ্চলিক সড়কটির কার্পেটিং উঠে খানাখন্দে পরিনত হয়। মোট ১৫শ মিটার দুইটি সড়ক ৬৫ লক্ষ টাকার বরাদ্ধ হয়। এতে মেরামতের কাজ পায় পাবনার মেসার্স রশিদ ট্রেডার্স। স্থানীয় জনতার অভিযোগ নিষেধ করার পরও নিম্ন মানের মেরামতের কাজ চলছিল সড়কটিতে। জনতার নিষেধ উপেক্ষা করায় তারা উপ-সহকারি প্রকৌশলীকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং ঠিকাদারের রোলার মেশিনসহ সরাঞ্জামাদী আটকে রাখে। পরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা কর্মিরা জনতার রোশানল থেকে ওই প্রকৌশলীকে উদ্ধার করে।
এদিকে দ্বিতীয় দিন সোমবার ভোরে ওই প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে আবারো নিম্ন মানের কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রশিদ ট্রেডার্স। এসময় এলাকাবাসী নিম্ন মানের কাজ বন্ধ করতে বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে আবারো নিম্ন মানের কাজ শুরু করলে স্থানীয় জনতার হামলার শিকার হন উপ-সহকারি প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম। পরে পুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা আরো জানান, সড়কটি মুলত পাবনার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছিল তাদের কাছ থেকে রায়গঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ্ আল পাঠান কাজটি কিনে নেয়। সে স্থানীয় হওয়ায় নিম্ন মানের কাজ করে আসছিল। এলাকাবাসি এই নিম্ন মানের কাজ করতে নিষেধ করলেও সে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যাবহার করে কাজ করছে। স্থানীয় জনতারা স্থানীয় সরকারের উদ্ধর্তন কর্মকর্তা ও যোগাযোগ মন্ত্রির হস্থক্ষেপ কমান করেছেন। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত সড়কটির মেরামতের কাজ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আব্দুল মমিন পাঠান বলেন,সড়কটিতে কাজ শুরুর সময় কিছু লোকজন অবৈধ চাঁদা দাবী করেছিল। তাদের এ অবৈধ দাবী পুরুন না করায় আমাদের কাজে বাধা দেয়া হয়েছে।
রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল বাছেদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের জন্য তার অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন-আমি বাইরে আছি। জনতা কর্তৃক উপ-সহকারি প্রকৌশলী প্রহৃত বিষয়টি স্বিকার করে বলেন,উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো। রাস্তা মেরামতের বিষয়ে কথা বলতে গেলে মুঠোফোনে তিনি বলেন, আমাকে মাফ করে দেন।
সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলন জানান, আমি ঢাকায় ছিলাম বিষয়টি শুনেছি। নিম্ন মানের কাজ হয়ে থাকলে পুনরায় সঠিক কাজ আদায় করে নেয়া হবে এবং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।