সোমবার ● ৯ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঢাকতে চুরি মামলা দায়ের
গাজীপুরে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঢাকতে চুরি মামলা দায়ের
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২৫ আষাঢ় ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১৬মি.) বহু অপকর্মের হোতা কাজল। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের চন্ডালহাতা গ্রামে তার বাড়ি।
রফিজ উদ্দিন টুকুর ছেলে সে। তার কথা না শুনলেই দেয় মিথ্যা মামলা। ক্ষতি করার ফিকির আঁটে। নানা ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলায় জর্জরিত গ্রামবাসী তার কাছে জিম্মি বলেই চলে।
৯ জুলাই সোমবার সকালে অন্তত ৫০-৬০ জন গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন।
এলাকাবাসী জানান, ওই গ্রামের কাজল একজন দুষ্কৃতিকারী লোক। কোনো কারণে গ্রামের কারো সাথে ঝগড়া হলে কিংবা তার অবাধ্য হলেই মিথ্যা মামলা ঠুকে দিয়ে তাকে হয়রানি করতে থাকে।
মিথ্যা মামলার শিকার মামরদী গ্রামের কিরণ বলেন, তার বোন শরিফাকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল কাজল।তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কাজল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা গত বছর ২৮ ডিসেম্বর শরিফাকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল।
এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই নারীর স্বামী-সন্তান সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে কাজল গাজীপুর আদালতে একটি সিআর মোকদ্দমা দায়ের করে। যার নং-১০৪/২০১৮।
মোকদ্দমায় বলা হয়, চলতি বছর ২ এপ্রিল রাত পৌণে নয়টায় কাজল আড়াল গ্রামের নাসির উদ্দিনের জমি কেনার জন্য এক লক্ষ টাকা সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই সাত আসামী আড়াল বাজারের সাইফুল ইসলামের লাইব্রেরীর সামনে তাকে মারধর করে টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কথা হয় কাজলের মানিত সাক্ষী শওকত, বিল্লাল, ইব্রাহিম, সুজন, সাইফুল ইসলাম ও নাসির উদ্দিনের সঙ্গে। তারা ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান।
আড়াল বাজার বণিক সমিতির সভাপতি বলেন, কাজল যে ঘটনা উল্লেখ করে মামলা করেছে সে ধরণের কোনো ঘটনা আড়াল বাজারে বা ওই লাইব্রেরীর সামনে ঘটেনি। আমার জানা মতে, কাজলের অভিযোগের ন্যূনতম সত্যতা নেই।
সনমানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদাত হোসেন মাষ্টার বলেন, কাজল একজন পেশাদার সন্ত্রাসী। তার যন্ত্রনায় গ্রামবাসী অতিষ্ঠ। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আমি কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করিছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাপাসিয়া থানার এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত কাজ শেষ। তদন্তে কাজলের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা আদালত গ্রহণ করবেন।