মঙ্গলবার ● ১৭ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে অবাধে পোনা নিধন : নির্বিকার মৎস্য দফতর
বিশ্বনাথে অবাধে পোনা নিধন : নির্বিকার মৎস্য দফতর
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (২ শ্রাবণ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.১০ মি.) বর্ষার পানিতে এখন খাল-বিল, নদী-নালায় চড়ে বেড়াচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছের পোনা। কিছুদিনের মধ্যেই মাছগুলো বড় হবে।
কিন্তু সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রকাশ্যে নানা প্রজাতির পোনা মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালসহ মাছ ধরার সরঞ্জাম দিয়ে এক শ্রেণির মৎস্য শিকারি ডিমওয়ালা মা মাছসহ ওই পোনা অবাধে নিধন করলেও ‘রহস্যজনক’ কারণে নির্বিকার উপজেলা প্রশাসন।
অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘ দুই বছরেও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বিক্রেতা-ব্যবহারকারী ও এসব মাছ বিক্রির বিরুদ্ধে কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি সংশ্লিষ্টরা। সরকারি নির্দেশনানুযায়ী জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ ইঞ্চির নীচে সব ধরণের মাছ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও বিশ্বনাথের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর পোনা মাছ। এতে মাছের বংশবৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস, পাবদা, আইড়, ঘনিয়াসহ দেশীয় প্রজাতির পোনা মাছ।
মৎস্য শিকারিরা উপজেলার বিভিন্ন হাওর-বাওর থেকে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, বেড় জাল, সুতি জাল ও হরেক রকম খাঁচা দিয়ে পোনা ধরে আনে। স্থানীয় হাট-বাজার ও উপজেলা সদরের পুরাতন-নতুনবাজারে ওই পোনা বিক্রি করা হয়। প্রশাসনের নাকের ডগায় পোনা মাছ বিক্রি ও সদরের পুরাতন বাজারের দু’একটি দোকানে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের রমরমা বাণিজ্য হলেও ‘রহস্যজনক’ কারণে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেউ।
এদিকে, গত ১৫ জুলাই রবিবার বিকেলে সদরের নতুনবাজারে পোনা মাছ বিক্রির সত্যতা পান মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী জসিম উদ্দিন। ওইদিন তিনি বাজার থেকে পোনা মাছের ছবি তুললেও ‘রহস্যজনক’ কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া উপজেলা মৎস্য দফতরের সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর অদ্যাবিধি নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, পোনা ও ডিমওয়ালা মা মাছ নিধনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় অনেকটা ‘বৈধতা’ লাভ করেছে পোনা নিধন।
তবে উপজেলা মৎস্য দফতরের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যারা এসব করছে আমি তাদের চিনিই না। তবে, অচিরেই দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, ‘পোনা নিধনকারী ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।