শিরোনাম:
●   আত্রাইয়ে হাতুরিতে আহত কৃষি শ্রমীকের মৃত্যু ●   সিলেটে বনভান্তের ১০৬ তম জন্মবার্ষিকী পালন ●   রংপুর বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নে নির্বাচনী তফসীল ঘোষণা ●   রাঙামাটি জেলা বিএনপির নেতা সাইফুল ইসলাম ভুট্টোর দলীয় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ●   কাউখালিতে দিনব্যাপী সম্প্রীতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট আগামী ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ●   কাউখালীতে আজিমুশশান সুন্নী সম্মেলন ●   রাবিপ্রবি’তে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ●   শহীদদের আত্মত্যাগকে ক্ষমতার সিডি হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ●   ঈশ্বরগঞ্জে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ●   শিক্ষকদের গবেষণা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখছে : চুয়েট ভিসি ●   রামগড়ে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা : ৫টি ইটভাটা বন্ধ ●   নবীগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার-১ ●   রাবিপ্রবি’তে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অনুপ কুমার চাকমা ●   রংধনু ক্লাবের সম্মাননা পেলো সংবাদ কর্মী আকতার হোসেন ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাস্টের শিক্ষার্থী এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন ●   গোলাপগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ●   পার্বতীপুর জামায়াতের মোটরসাইকেল শোডাউন ●   মিরসরাইয়ে বিএনপি-স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা খুন : স্থানীয় নেতাকর্মীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করলো তদন্ত কমিটি ●   অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবেনা ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত ●   চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে গাড়ির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের অভিষেক ●   কাশখালী রশিদিয়া তা’লীমুল কুরআন একাডেমীতে বার্ষিক মাহফিল সম্পন্ন ●   পানছড়িতে সন্ত্রাসীদের দ্বারা ৩জন হামলার শিকার ●   আলীকদমে সড়কে ঝরলো ৩ প্রাণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে রবিদাস সম্প্রদায়ের মাঝে কম্বল বিতরণ ●   দুবাইয়ে সংবর্ধিত হলেন জিয়া উদ্দিন ●   বৈষম্য বিলোপে অন্তর্বর্তী সরকারের মনোযোগ দেখা যাচ্ছেনা : সাইফুল হক ●   মিরসরাইয়ে ১৯ তম বিজ্লী গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন
রাঙামাটি, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ১৮ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » ঝালকাঠি জেলায় সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার হয়নি
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » ঝালকাঠি জেলায় সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার হয়নি
বুধবার ● ১৮ জুলাই ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঝালকাঠি জেলায় সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার হয়নি

---ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: (৩ শ্রাবণ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.০০মি.) ঝালকাঠি জেলায় সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় কৃষকদের আবাদি জমির ফসল স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতেই ডুবে যাচ্ছে। এরমধ্যে জরুরি ভাবে প্রায় ১০ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কারের কাজ হলেও তা প্রয়োজনের তুলানায় একবারে নগন্য। এর ফলে প্রতি বছর নষ্ট হচ্ছে ফসল এবং পতিত পড়ে থাকে হাজার হাজার একর জমি। গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছর বর্ষা মৌসুমের আগেই জরুরি ভিত্তিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও অবকাঠামো মেরামতের জন্য ৩১ কোটি ৫৩ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ পাওয়া গেছে মাত্র ৭৯ লাখ টাকা। আর তাই এবছর বর্ষার আগেই বাঁধের কাজ না হওয়ায় কৃষকরা ফসলহানির মুখে পরেছে। অপরদিকে ঝালকাঠি-রাজাপুর-কাঁঠালিয়া উপজেলার গাবখান থেকে আমুয়া পর্যন্ত প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮.৭ কিলোমিটার প্রস্তাবিত বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। প্রকল্পটির ডিপিপি পাশ হয়ে প্রাক্কলনের কাজ চলছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাযায়। এটি বাস্তবায়িত হলে জেলার প্রায় ১৫ হাজার ১৫৭ হেক্টর জমি ও এর ফসল বন্যা, প্লাবন এবং স্বাভাবিক জোয়ারে প্রকোপ থেকে রক্ষা পাবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাযায়।
জেলার ৫৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগেই এগুলোর অবস্থা ছিল জরাজীর্ণ। ফলে প্রতি বছর বর্ষায় ফসল তলিয়ে যাওয়ার ভোগান্তিতে পরছে কৃষকরা। পানি উন্নয়ন বিভাগ সূত্র জানায়, সিডরের পর নলছিটি উপজেলার ২৬ , ঝালকাঠির ২, গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ১২, কেওড়া কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের ৫ এবং রাজাপুরের ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারন সূত্র জানায়, বেড়িবাঁধ না থাকায় জেলার নলছিটি কাঁঠালিয়া রাজাপুরের অনেক আবাদি জমি সাধারণ জোয়ার এবং বন্যায় প্লাবিত হয়। ফলে রবি শস্যের ক্ষতি হয় সবচেয়ে বেশি। এসব রবি শস্যের মধ্যে মুগডাল, মরিচ, তিল আলু, কুমড়া ,ফুট, শাক-সবজি উল্লেখযোগ্য। সূত্রমতে, জরুরি ভিত্তিতে জেলার কমপক্ষে ৪ হাজার হেক্টর জমি বেড়িবাঁধের আওতায় আনা হলে রবি মৌসুমে এসব ফসল ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেত। ঝালকাঠির গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান চরকাঠি গ্রামের কৃষক নূরু হায়দার এবং আবু ছালে জানান, তাদের গ্রামের পাশে বেড়িবাঁধ না থাকায় গতবছর গাবখান নদীর স্বাভাবিক জোয়ারে এবং সামান্য বর্ষায় আবাদি জমিতে পানি উঠে রবিসহ সব ধরনের ফসল বিনষ্ট হচ্ছে। কাঁঠালিয়ার বিষখালী নদী তীরবর্তী জয়খালী গ্রামের কৃষক জয়নাল , হামেদ এবং ছোবাহান মিয়া জানান, কাঁঠালিয়ায় পানি উন্নয়ন বিভাগ কোনো বেড়িবাঁধ না করায় স্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে যাচ্ছে আবাদি ও নিচু জমি। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বিশেষ করে কাঁঠালিয়ার দক্ষিণ পাড়ের হেতালবুনিয়া, মশাবুনিয়া, জয়খালি, চিংড়াখালী, ছারাও কাঁঠালিয়া, রগুয়ারচর, শৌলজালিয়া, জাঙ্গালিয়া, আওরাবুনিয়া, আমুয়াসহ প্রায় ২১ টি গ্রাম বেড়িবাঁধ না থাকায় ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে থাকে। বেড়িবাঁধ দিলে এ উপজেলার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি জীবনযাত্রার মানও বৃদ্ধি পাবে বলে এলাকাবাসির ধারনা। রাজাপুর উপজেলার নাপিতেরহাট গ্রামের কৃষক এনতাজ উদ্দিনের মতে, ঝালকাঠির গাবখান হয়ে রাজাপুর থেকে কাঁঠালিয়ার আমুয়া পর্যন্ত একটি বেড়িবাঁধ দেওয়া হলে ৩ উপজেলার সব জমি পানির হাত থেকে রক্ষা পবে। কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ফোরকান বলেন, আমাদের কাঁঠালিয়া উপজেলা ঘিরে বাঁধ দেওয়া অত্যান্ত জরুরী। কারণ পার্শ¦বর্তী জেলা বরগুনা পুরোটাই পানি নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের মাধ্যমে বেড়িবাঁধের আওতায় নেওয়া হয়েছে। তাই বিষখালী নদীর পানির চাপে জোয়ারের সময় প্রথমেই আমুয়া ইউনিয়ন তলিয়ে যায়। এরপর ওই পানি কাঁঠালিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রবেশ করে তলিয়ে যায় মাঠ-ঘাট ফসলের জমি। ঝালকাঠির কেওরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোয়জ্জেম হোসেন টিপু জানান, গাবখান নদীর পাড় ঘেষে কেওরা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ অনেক আগেই ভেঙ্গে গেছে। ভাঙ্গা বাঁধের পথ ধরে এখন বাড়িঘর এবং ফসলি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। বিশেষ করে ঝালকাঠি পৌরসভার পারকিফাইতনগর এলাকা থেকে পাকমহর পর্যন্ত এই মূহুর্তে বাঁধের কোন চিহ্নই নেই।
ঝালকাঠি-রাজাপুর-কাঁঠালিয়া উপজেলার গাবখান থেকে আমুয়া পর্যন্ত ৪৮.৭ কিলোমিটার প্রস্তাবিত বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটির ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশাল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলম আক্তার বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ৪ সদস্যের কারিগরি কমিটি গঠন করেছে। তাদের ষ্টাডি রিপোর্ট দাখিলের পর এটি মন্ত্রণালয়ে পাঠনো হবে। কারণ এর আগেও একবার প্রকল্পটি সেখানে উপস্থাপন করা হলে প্লানিং কমিশন ষ্টাডি রিপোর্ট না থাকায় তা ফিরিয়ে দেয়। কবে নাগাদ ষ্টাডির কাজ শুরু হবে সে সম্পর্কে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কিছুই জানতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্লানিং কমিশনের মাধ্যমে গঠিত কমিটি দিয়ে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া হলে এটির অনুমোদন দ্রুতই পাওয়া যেতে পারে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)