শনিবার ● ২১ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » নিখোঁজ হওয়া দুই কিশোরীকে রিক্সা চালকের বাড়ী থেকে উদ্ধার
নিখোঁজ হওয়া দুই কিশোরীকে রিক্সা চালকের বাড়ী থেকে উদ্ধার
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :: (৬ শ্রাবণ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১২মি.) হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভেতরের টিউবওয়েল থেকে কলসি নিয়ে পানি আনতে গিয়ে উধাও হওয়া দুই কিশোরীর সন্ধান মিলেছে। গত ১৯ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উধাও হওয়া স্বর্ণা ও চাঁদনীকে গত শুক্রবার উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের সর্দারপুর গ্রামের জনৈক রিকশা চালকের বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও তাদের পিতা-মাতা। তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন হাসান এর কার্যালয়ে হাজির করা হলে পিতা -মাতার মুছলেকা রেখে তাদের জিম্মায় দেওয়া হয় কিশোরীদ্বয়কে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ পৌর এলাকার অভয়নগরস্থ আলী ভিলায় বসবাসকারী নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের ফুরকান মিয়া ও পৌর এলাকার কানাইপুর গ্রামের রাখেশ সুত্রধরে কিশোরী কন্যা চাঁদনি বেগম (১১) ও স্বর্ণা সূত্রধর (১২) পার্শ্ববর্তী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভেতরের একটি টিউবওয়েল থেকে কলসি নিয়ে পানি আনতে গিয়ে আর ফিরেনি। রাতব্যাপী সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজেও তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে, ২০ জুলাই শুক্রবার করগাঁও ইউনিয়নের সাকোয়া টুকেরবাজারের একটি চায়ের দোকানে বসা লোকজনের কথোপতকনের সময় সর্দারপুর গ্রামের এক রিকশা চালক জানায় দুই কিশোরীকে শুক্রবার রাতে টুকেরবাজারে পেয়ে তার বাড়িতে আশ্রয় দেন। এ খবর পেয়ে দুই কিশোরীর পিতা-মাতা ও ওয়ার্ড কান্সিলর সুন্দর আলী আরো লোকজন নিয়ে সর্দারপুর গ্রামস্থ ওই রিকশা চালকের বাড়িতে গিয়ে স্বর্ণা ও চাঁদনিকে নিয়ে আসেন। পরে তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির করলে তারা জানায়, তারা তাদের পিতা-মাতার ওপর অভিমান করে পানি আনার ভান করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। হাটতে হাটতে রাতে টুকেরবাজার গিয়ে পৌছায় এ সময় ওই রিকশা চালক তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা রাতে থাকার অনুরোধ করে। পরে রিকশা চালক দুই কিশোরীকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। অপর দিকে, আগামী সোমবার সকাল ১০ টায় ওই রিকশা চালককে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির করার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুন্দর আলীকে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন-হাসান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন-হাসান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,কিশোরী দু’জনকে তাদের মা বাবার জিম্মায় দেয়া হয়েছে।