মঙ্গলবার ● ২৪ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » চুয়েটে নির্মিত হচ্ছে স্বাধীনতা ভাস্কর্য
চুয়েটে নির্মিত হচ্ছে স্বাধীনতা ভাস্কর্য
রাউজান প্রতিনিধি :: (৯ শ্রাবণ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১২.২০মি.) চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল চত্বরে প্রায় ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন স্বাধীনতা ভাস্কর্য। ২৩ জুলাই সোমবার সকালে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (অতি:দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অচিন্ত কুমার চক্রবর্ত্তী, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের উপ-পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাজমুদ্দোজা, ভাস্কর্যের ভাস্কর ও চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের খন্ডকালীন শিক্ষক শুভাশীষ দাশ প্রমুখ। ভাস্কর্যের নকশা করেন চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সজল চৌধুরী ও নুসরাত জান্নাত।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের নানা স্মৃতি বিজড়িত এই চুয়েট ক্যাম্পাস। এসব স্মৃতি সংরক্ষণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে শহীদ মিনার নির্মাণ, মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন, মুক্তিযুদ্ধে দুইজন মহান শহীদের নামে দুটি হলের নামকরণ, কেন্দ্রিয় লাইব্রেরিতে ‘বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ কর্ণার চালু প্রভৃতি। এরই অংশ হিসেবে আজ স্বাধীনতা ভাস্কর্যের নির্মাণ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ভাস্কর্যের মূল চারটি ফিগারে ছাত্র-শিক্ষকসহ সাধারন মানুষের অংশগ্রহন বুঝানো হয়েছে। দুই পুরুষ ফিগারে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তিযুদ্ধে স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহন ও সাহসী-সংগ্রামী চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে। একটি নারী ফিগারের আঁচল বাংলাদেশের পতাকা হিসেবে দেখানোর পাশাপাশি নারীদের অদম্য সাহসকিতা ও পুরুষের সাথে থেকে সাহস যোগানোসহ শ্বাশত প্রকৃতি তুলে ধরা হয়েছে। একটি কিশোর ফিগারে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহন তুলে ধরা হয়েছে।
এছাড়া বেসমেন্টের ১২০ ফুট টেরাকোটার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কিছু চিত্র: যেমন: জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, পাক বাহিনীর আত্নসমর্পন ইত্যাদি তুলে ধরা হয়েছে।