শুক্রবার ● ২৭ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » গাইবান্ধায় বর্ষালী ধান কাটা শুরু
গাইবান্ধায় বর্ষালী ধান কাটা শুরু
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (১২ শ্রাবণ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.২০ মি.) শস্য-শ্যামলা সবুজ বাংলার কৃষি প্রধান দেশের গাইবান্ধা সদরসহ সকল উপজেলায় দিগন্ত জুড়ে খোলা মাঠে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। দিগন্ত জুড়ে শুধু বর্ষালী ধানের ক্ষেত। কৃষকেরা তাদের কাঙ্খিত স্বপ্নের এ আবাদ থেকে আশাতীত ফলন পেতে ইতোমধ্যে ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু করেছেন। গেল ইরি-বোরো ধান ঘর তোলার রেশ কাটতে না কাটতেই গাইবান্ধার সদর, সাদুল্যাপুর, সুন্দরগঞ্জ, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বর্ষালী ধান আবাদে ঝুঁকে পড়েছিল কৃষকরা। সম্প্রতি সেই ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কৃষক।বিশেষ করে উপজেলার উচু এলাকায় ইরি ধান কাটার সাথে সাথে বর্ষালী জাতের ধানের বীজ বপন করা হয়। প্রায় ১৫ দিনের মধ্যেই বীজ জমিতে রোপন করার উপযোগি হয়ে যায়। ইরি-বোরো মৌসুমে ধান পাকার সময় এবং কাটার সময় কাল বৈশাখি ঝড়-বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ায় কৃষকরা নাকাল হয়ে পড়লেও আবাদী জমি পতিত রাখতে নারাজ তারা। তাই পুরো বর্ষা নামার আগেই তরিঘড়ি করে মাঠে নেমেছিলেন কৃষকরা। জমির আইল কাটা এবং জমিতে পাওয়ারট্রিলার দিয়ে চাষ করে চারা রোপনের পর সেই ধান কাটতে ভীষণ ব্যস্ত হয় পড়েছেন তারা।
সাদুল্যাপুর উপজেলার জামালপুর এলাকার কৃষক মাইদুল বেপারি বলেন, এবারে বর্ষালী জাতের ধান আবাদের জন্য ইতোমধ্যে ২ বিঘা জমিতে চারা রোপন করা হয়েছিল। সম্প্রতি ধান কাটা শুরু করা হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১৫ থেকে ১৮ মন হারে ধানের ফলন পাওয়া যেতে পারে বলে জানান তিনি। ধান কাটা শ্রমিক মমিন ও আব্দুর রহমান জানান, আমরা শ্রম বিক্রি করে দিনাতিপাত করি। ইরি-বোরো ধান কাটার পর আমাদের দীর্ঘদিন বসে থাকতে হয়। এর ফলে অর্থ সংকটের শিকার হই। এখন ওই চিন্তা থেকে রেহাই পেয়েছি। কারণ-বোরো ধান কাটার পরই বর্ষালী ধান রোপন করছেন কৃষকরা। তাই এ চাষাবাদে আমরা শ্রম বিক্রি করতে পেরে আর্থিক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া জানান, কৃষকরা ব্রি-৪৮ ও ৫৫ এবং কুদরত জাতের ধান চাষাবাদ করেছেন। বিঘা প্রতি ৪-৫ হাজার টাকা খরচ করে ৯০ দিনের মধ্যে এ ধান কর্তন করার পর এখন আমন ধান চাষাবাদ করতে পারবেন কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জোবায়দুর রহমান জানান, গত বর্ষালী মৌসুমে সাদুল্যাপুর উপজেলায় মাত্র ৪৫ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করেছিলেন কৃষকরা। কৃষকরা ভাল ফলন পাওয়ায় এবারে ১ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বর্ষালী ধান করেছেন। এবারও আশাতীত ফলন ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা।