রবিবার ● ২৯ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » প্রানে মেরে হুমকির অভিযোগে বাঘইল এলাকাবাসীর সাংবাদিক সম্মেলন
প্রানে মেরে হুমকির অভিযোগে বাঘইল এলাকাবাসীর সাংবাদিক সম্মেলন
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: (১৪ শ্রাবণ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৫৫ মি.) বাঘইল শহিদ পাড়ার আজিুর রহমান টুকুর ছেলে রাকিবুর রহমান শুভ্র’র বিরদ্ধে একই পাড়ার নাজমা খাতুন বেলিকে অস্ত্র ধরে জানে মেরে ফেলা,মামলা তুলে নেওয়ার চাপ ও আগুণ দিয়ে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ জুলাই রবিবার দুপুরে জাতীয় সাংবাদিক সোসাইটি ঈশ্বরদী সাংগঠনিক জেলা শাখা কার্যালয়ে বেলির পরিবার ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের স্মরনাপন্ন হয়েছি উল্লেখ করে বেলির পিতা ইউনুস আলী বলেন, আমি অতীব দুঃখের সাথে অভিযোগ করছি যে, গত ২৮/০৭/২০১৮ ইং তারিখ শনিবার রাত আনুমানিক ৮ টায় আমার মেয়ে নাজমা খাতুন বেলী বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। এমন সময় হঠাৎ করে শুভ্র অজ্ঞাত একজন ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে বেলীর সামনে হাজির হয়ে পিস্তল উঁচিয়ে বলে,খুব বেড়ে গেছিস। মামলা তুলে নাও নইলে জানে মেরে ফেলবো,বাড়িতে আগুণ ধরিয়ে পুড়িয়ে মারবো। শুভ্রর হুমকি ও আচরণে ভীত হয়ে নাজমা খাতুন বেলী দৌঁড়ে বাড়িতে ঢুকে চিৎকার দিয়ে মা বলে ডেকে কাঁদতে শুরু করে।
তিনি আরও বলেন,গত ১৫.১২.২০১০ ইং তারিখে আমার মেয়ে নাজমা খাতুন বেলির সাথে প্রতিবেশী আজিজুর রহমান টুকুর ছেলে রাকিবুর রহমান শুভ্র’ আমাদের না জানিয়ে বেকার অবস্থায় ভালবাসা করে গোপনে বিয়ে করে। হঠাৎ করে শুভ্র সেতু মন্ত্রনালয়ে একটি প্রকল্পে সহকারী প্রকৌশলী সিভিল পদের চাকুরিতে যোগদান করে। এর পর থেকে সে নাজমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। নানা কায়দায় খারাপ ব্যবহারের মাধ্যমে সে নাজমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিমাণের টাকা দাবি করতে থাকে। অবস্থা বুঝে আমার অবসর কালিনের জমানো টাকা এবং বাড়ির খামারের গরু বিক্রির টাকা দেওয়া হয়। এর পরও সে নাজমাকে নানা কৌশলে অত্যাচার চালাতে থাকে। আমি নাজমার সুখের জন্য আট বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে শুভ্রকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা নাজমার মাধ্যমে দিয়ে থাকি। দীর্ঘদিন ধরে নাজমা ও শুভ্রর মধ্যে অনৈতিকভাবে টাকা দাবি, টাকা গ্রহণ ও খারাপ আচরণের বিষয়টি উভয় পরিবারসহ এলাকাবাসির মধ্যে জানাজানি হয়। পরে আমি ও আমার পরিবারের সকলে অতিষ্ট হয়ে স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের বিষয়টি অবগত করি। এক পর্যায়ে পাকশীর সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের জুক্তিতলা গ্রামের নিজ বাড়িতে জরুরি বিচার বসানো হয়। এতে সাবেক এমপি,পাবনা-৪ সিরাজুল ইসলাম সরদার ও পাকশীর বর্তমান চেয়াম্যান এনামুল হক বিশ্বাসসহ কয়েকজন ইউপি সদস্য বিচারে অংশ নেন। ছেলে পক্ষ ঐদিন বিচারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্থান ত্যাগ করে। সমাধান না হওয়ায় পরবর্তীতে নাজমার উপর শুভ্রর অথ্যাচার অভ্যাহত থাকে। পরে আমি দিশেহারা হয়ে পাকশী ইউপি চেয়ারম্যানের স্মরণাপন্ন হয়ে বিচার দাবি করলে চেয়ারম্যান সাহেব বিচারের দিন ধার্য করে উভয় পক্ষকে পরিষদে নির্ধারিত দিনে ডাকা বিচারে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। চেয়ারম্যানের নির্দেশে উভয় পক্ষ বিচারে হাজির হয়। বিচারে উভয় পক্ষের শুনানীর পর সুষ্ঠ সমাধানের কথা বলে শুভ্রর পক্ষ দশদিনের সময় প্রার্থণা করলে চেয়ারম্যান দশদিন সময় দেন। এ সময়ের মধ্যে ছেলে পক্ষ আর বিচারে হাজির হয়না। এ ভাবে একমাস পার হয়ে যায়। এর মধ্যে আমিসহ আমার লোকজন পরিষদে ঘুরতে থাকি। অবশেষে চেয়ারম্যান ছেলে পক্ষকে আবারও ১০.০২.২০১৮ ইং তারিখে পরিষদের বিচারে হাজির হওয়ার জন্য উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক মেয়ে পক্ষ হাজির হলেও ছেলে পক্ষ হাজির হয়না। এর পর আমার মেয়ে নাজমা খাতুন বেলী বাধ্য হয়েই শুভ্রর বিরুদ্ধে আদালতে গিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। মামলাটি চলমান অবস্থায় নাজমা খাতুন বেলী পাবনা কোর্টে আরও একটি যৌতুক মামলা দায়ের করে। যে মামলাটি অদ্যবধি চলমান রয়েছে। এ অবস্থার মধ্যেও শুভ্র গং থেমে নেই। তারা নাজমাসহ আমাদের বিরুদ্ধে নানা কায়দায় ক্ষতিকারক কাজ করে য চ্ছে । আমি সাংবাদিক সম্মেলনে শুভ্র’র সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সংবাদ পরিবেশন, গ্রেফতার ও সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
এ সময় এলাকাবাসীর মধ্যে জহুরুল ইসলাম,সিদ্দিক টিটি,আবুল কালাম,নায়েব আলী,একরামুল ইসলাম,খেপু মন্ডল,নাজমা খাতুন বেলী,শরীফুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।